একটা সময় যিনি ছিলেন ইউরোপের সবচেয়ে প্রতিভাবান তরুণদের একজন, সেই চার্লি মুসোন্ডা মাত্র ২৮ বছর বয়সেই পেশাদার ফুটবল থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন।
ইনজুরির সাথে দীর্ঘ লড়াই শেষে তিনি জানালেন, তিনি এখন ফুটবলের বাইরের পথে হাঁটতে চান—যেখানে তরুণ খেলোয়াড়দের জন্য সুযোগ তৈরি করাই হবে তার প্রধান লক্ষ্য।
২০১২ সালে বেলজিয়ান ক্লাব আন্ডারলেখট থেকে ইংলিশ জায়ান্ট চেলসিতে যোগ দেন মুসোন্ডা। তখন তাকে ভবিষ্যতের মহাতারকা হিসেবে বিবেচনা করা হতো।
চেলসির যুব দলে ছিলেন উজ্জ্বল এক নাম—দুটি এফএ ইয়ুথ কাপ (২০১৩-১৪ ও ২০১৪-১৫) এবং একটি ইউইএফএ ইয়ুথ লিগ (২০১৫) জয়ে রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
কিন্তু এই প্রতিভার পথরেখা আর দীর্ঘ হয়নি। ক্রমাগত চোটে ভুগতে থাকা মুসোন্ডার ক্যারিয়ার গতি হারায়। চেলসির হয়ে মাত্র ৭টি ম্যাচ খেলেন তিনি।
এরপর রিয়াল বেটিস, সেল্টিক ও ভিটেসের হয়ে ধারে খেললেও নিজেকে তুলে ধরতে পারেননি আগ্রহী ক্লাবগুলোর সামনে।
২০২২ সালে চেলসি ছাড়ার পর স্প্যানিশ ক্লাব লেভান্তে এবং পরবর্তীতে সাইপ্রাসের ক্লাব আনোরথোসিসে যোগ দেন তিনি।
২০২৩-২৪ মৌসুম শেষে ক্লাবহীন হয়ে পড়েন মুসোন্ডা এবং চলতি মৌসুমে কোনো ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি না করেই ঘোষণা দেন পেশাদার ফুটবল থেকে অবসরের।
এক সাক্ষাৎকারে মুসোন্ডা বলেন, গত কয়েক বছর ধরেই ভাবছিলাম। নিজের অভিজ্ঞতা ও ব্যক্তিত্বের কারণেই আমি এই সিদ্ধান্তে এসেছি।
এখন এমন কিছু করতে চাই যেখানে অর্থবহ কাজ থাকবে, অনুপ্রেরণা থাকবে। তরুণ ফুটবলারদের জন্য সুযোগ তৈরি করতে চাই।
ফুটবল ছাড়ছি, তবে পেশাকে ছাড়ছি না। খেলোয়াড়দের জন্য প্ল্যাটফর্ম তৈরি করব, যাতে তারা নিজেদের মেলে ধরতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :