২০২৫ সালের ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ শুধু ক্রীড়াঙ্গনেই নয়, অর্থনীতিতেও এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে। ৩২ দলের অংশগ্রহণ, নতুন ফরম্যাট এবং ইতিহাসের সর্ববৃহৎ আর্থিক পুরস্কার—সবমিলিয়ে এ প্রতিযোগিতা এখন ফুটবলের সবচেয়ে আলোচিত আয়োজন।
ফিফার ঘোষণা অনুযায়ী, এবারের ক্লাব বিশ্বকাপে মোট পুরস্কার হিসেবে বিতরণ করা হচ্ছে ১ বিলিয়ন ডলার। প্রতিটি ক্লাবের জন্য সর্বোচ্চ পুরস্কারের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে ১২৫ মিলিয়ন ডলার।
তবে ফাইনালে ওঠা চেলসি ও পিএসজি—উভয় দলকেই কিছুটা হতাশ হতে হচ্ছে। গ্রুপ পর্বে একটি করে ম্যাচ হারায় তারা ২ মিলিয়ন ডলার কম পাচ্ছে। ফলে উভয় ক্লাবের ঝুলিতে যাচ্ছে ১২৩ মিলিয়ন ডলার করে।
এছাড়াও, চ্যাম্পিয়ন দলকে ট্রফির পাশাপাশি অতিরিক্ত ৪০ মিলিয়ন ডলার প্রদান করা হবে, যা পুরো টুর্নামেন্টে দলটির পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে অর্জিত অর্থের সঙ্গে যুক্ত হবে।
অপরদিকে, রানারআপ দল ১০ মিলিয়ন ডলার কম পাবে। এরসঙ্গে যুক্ত হবে সম্প্রচার স্বত্বের আয়ের অংশ।
ইউরোপীয় ক্লাবগুলোর জন্য সম্প্রচার স্বত্ব বাবদ ফিফা নির্ধারণ করেছে ১২.৮১ মিলিয়ন থেকে ৩৮.১৯ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত অর্থ, যা প্রতিযোগিতা শুরুর আগেই নিশ্চিত ছিল।
ফলে চেলসি ও পিএসজি ছাড়াও রিয়াল মাদ্রিদ ও অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের মতো ক্লাবগুলো এই আয় থেকে ইতোমধ্যে লাভবান হয়েছে।
ফিফা জানিয়েছে, এই টুর্নামেন্ট থেকে যে আয় হবে, তা ক্লাব ফুটবলের উন্নয়নে বিনিয়োগ করা হবে এবং ফিফার সংরক্ষিত তহবিল ব্যবহার করা হবে না।
পাশাপাশি, বিশ্বজুড়ে ফুটবল উন্নয়নে ২৫০ মিলিয়ন ডলারের একটি সংহতি তহবিল চালু করা হচ্ছে।