ঢাকা রবিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৫

নারী ফুটবল দলের অভিযোগ শুনলেন বাফুফে সভাপতি

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ২৬, ২০২৫, ০৫:৪৭ পিএম
ছবি- সংগৃহীত

সম্প্রতি সাফ অনূর্ধ্ব-২০ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল এখনো ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অবস্থান করছে। এই বিজয়ের পর খেলোয়াড়দের মনোবল ধরে রাখতে এবং আসন্ন এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ বাছাইপর্বের প্রস্তুতি নির্বিঘ্ন করতে বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল তাদের পাঁচতারা হোটেলেই রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জেতার পরপরই খেলোয়াড়দের ফুটবল ভবনে পাঠানোর প্রাথমিক পরিকল্পনা থাকলেও, তাবিথ আউয়াল মনে করেছেন ১২ দিনের এই ক্যাম্পটি হোটেলে থাকাই ভালো।

এর ফলে খেলোয়াড়রা স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ, উন্নত খাবার, সুইমিংপুল ও জিমের মতো আধুনিক সুবিধা পাবেন, যা ফুটবল ভবনে অনুপস্থিত।

এই নিরবচ্ছিন্ন প্রস্তুতি লাওসে এএফসি বাছাইপর্বের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে পারলে বাংলাদেশ নারী দল এশিয়ান কাপ অনূর্ধ্ব-২০ ফুটবলের চূড়ান্ত পর্বে খেলার সুযোগ পাবে।

সভাপতির আকস্মিক সফর

পাঁচ দিন ধরে হোটেলে ক্যাম্প চললেও, বাফুফের পক্ষ থেকে কেউ খেলোয়াড়দের খোঁজ নিতে যাননি। অবশেষে গতকাল সকালে বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল নিজেই হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে যান এবং খেলোয়াড়দের সঙ্গে বৈঠক করেন।

সভাপতির আগমন খেলোয়াড়দের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা নিয়ে আসে এবং তারা নির্দ্বিধায় তাদের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেন।

খেলায়াড়দের কথায় কোনো দাম্ভিকতা ছিল না, বরং ছিল নিজেদের প্রয়োজন মেটানোর আকুতি। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা এই তরুণীরা ঢাকায় ফুটবল খেললেও তাদের বাবা-মা খেলা দেখতে আসতে পারেন না—এমন ব্যক্তিগত সমস্যার কথাও তারা তুলে ধরেছেন।

নিম্নমানের সরঞ্জাম ও কোচের ভূমিকা

যদিও বাফুফে সভাপতি সরাসরি খেলোয়াড়দের সমস্যার কথা বলতে রাজি হননি, তবে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে যে খেলোয়াড়রা মিয়ানমারে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বের বাছাইপর্বে নিম্নমানের সরঞ্জাম নিয়ে খেলার অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন।

বিশেষ করে, নিম্নমানের কেডস যা মাঠেই খুলে যাচ্ছিল এবং অনুশীলন করার জন্য মাত্র এক সেট জার্সি থাকার অভিযোগ উঠে আসে। খেলোয়াড়দের নাকি নিজেদেরই ঘামে ভেজা জার্সি ধুয়ে শুকিয়ে পরের দিনের অনুশীলনের জন্য প্রস্তুত করতে হতো।

এসব শুনে তাবিথ আউয়াল তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং ব্রিটিশ কোচ পিটার বাটলারের সঙ্গে হোটেল লবিতে বৈঠক করেন।

তিনি পিটার এবং অন্যান্য কোচিং স্টাফদের কাছে জানতে চান কেন এই ধরনের সমস্যার সমাধান করা হয়নি এবং কেন তারা এমন পরিস্থিতি মেনে নিয়েছেন।