ইতালিয়ান জায়ান্ট এসি মিলান তাদের মাঝমাঠ পুনর্গঠনের কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ করেছে। আর এই পুনর্গঠনের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন এক তরুণ সুইস প্রতিভা—আর্ডন জাশারি।
দীর্ঘ দুই মাস ধরে চলা নাটকীয় দলবদল শেষে অবশেষে ২২ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডারকে নিজেদের করে নিয়েছে রোসোনেরিরা।
বেলজিয়ামের ক্লাব ব্রুজের সঙ্গে মিলান চূড়ান্ত করেছে ৪২.৫ মিলিয়ন ডলারের রেকর্ড চুক্তি—যার মধ্যে ৩৯.২ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হবে প্রাথমিকভাবে এবং বাকি ৩.৩ মিলিয়ন ডলার নির্ধারিত পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে।
যাশারিকে নিয়ে এই চুক্তি এখন পর্যন্ত বেলজিয়ান প্রো লিগের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বহির্গামী দলবদল। একইসঙ্গে এসি মিলানের ইতিহাসেও এটি অন্যতম ব্যয়বহুল চুক্তি, যা ডি কেটেলারের ২০২২ সালের রেকর্ডকেও ছাড়িয়ে গেছে এটি।
যাশারিকে পেতে আগ্রহী ছিল বরুশিয়া ডর্টমুন্ড, আর্সেনাল ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মতো ইউরোপের শীর্ষ ক্লাবগুলো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত খেলোয়াড়ের নিজস্ব আগ্রহই মিলানকে জয়ী করেছে।
গাজ্জেত্তা দেলো স্পোর্ত জানান ‘জাশারির রোসোনেরি জার্সি পরার তীব্র আকাঙ্ক্ষাই ছিল বিঘ্ন কাটিয়ে চুক্তি চূড়ান্ত করার মোক্ষম চাবিকাঠি।’
গত মঙ্গলবার রাতে মিলানে এসে পৌঁছান জাশারি। বুধবার মেডিকেল শেষে সরাসরি দলের অনুশীলনে যোগ দেন তিনি। কোচ মাস্সিমিলিয়ানো আল্লেগ্রির অধীনে তিনি হয়তো এই সপ্তাহান্তেই লিডস ইউনাইটেড ও চেলসির বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে মাঠে নামতে পারেন। যদিও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে তার ফিটনেসের ওপর।
মেসির প্রতি শ্রদ্ধায় জার্সি নম্বর ৩০
তবে জাশারিকে ঘিরে আলোচনার মূল কেন্দ্র শুধু তার পারফরম্যান্স বা দাম নয়। বরং শিরোনাম হচ্ছে তার জার্সির নম্বর নিয়েও। মিলানে তিনি বেছে নিয়েছেন নম্বর ৩০—একটি নম্বর যা ক্লাবের সাম্প্রতিক ইতিহাসে খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল না।
কিন্তু এর পেছনে রয়েছে এক ব্যক্তিগত ও আবেগঘন গল্প।
মিলান টিভিকে জাশারি বলেন, সুইজারল্যান্ডে, আমার প্রথম ক্লাবে আমি ৩০ নম্বর জার্সি পরতাম। তখন থেকেই মেসিকে ভালোবাসতাম। মেসিও বার্সেলোনায় তার ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন এই নম্বর পরে।
সেটা আমার জন্য সৌভাগ্যের হয়েছিল, বেলজিয়ামেও তাই করেছি। এবার মিলানেও আমি চাই এই নম্বরটা ইতিহাস গড়ুক।
বিশ্ব ফুটবলের ইতিহাসের অন্যতম সেরা তারকা লিওনেল মেসি বার্সেলোনায় নিজের প্রথম জার্সি হিসেবে ৩০ নম্বরই পরতেন এবং পরবর্তীতে পিএসজিতেও এই নম্বরটি ব্যবহার করেছিলেন।
সেই নম্বরকে ধারণ করে জাশারির স্বপ্ন—মেসির পথ অনুসরণ করে ইউরোপের এক শীর্ষ ক্লাবের কেন্দ্রীয় চরিত্র হয়ে উঠা।