টানা দ্বিতীয় দিনের মতো উত্তাল নেপালের রাজপথ। দুর্নীতি, অর্থ পাচার এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধের প্রতিবাদে রাজধানী কাঠমান্ডুসহ নেপালের অন্যান্য শহরে হাজার হাজার তরুণ-তরুণী সরকার পতনের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে, এই অস্থিরতার কারণে দেশে ফেরা নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ৩টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে দলের দেশে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু নেপালের নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ত্রিভুবন বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে হোটেল থেকে টিম বাস ছাড়তে পারেনি।
জেন-জি’র তীব্র আন্দোলন
সোমবার থেকেই নেপালের পরিস্থিতি উত্তপ্ত। জেন-জি (Gen-Z) নামে পরিচিত তরুণ প্রজন্ম নেপাল পার্লামেন্ট হাউজে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে তাদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।
বিক্ষোভকারীদের দমাতে পুলিশ গুলি চালালে প্রথম দিনেই ১৯ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হন। এই নৃশংস ঘটনায় আন্দোলন আরও বেগবান হয়।
বিক্ষোভ দমাতে সোমবার রাতে নেপালের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদত্যাগ করেন এবং মঙ্গলবার সকালে পদত্যাগ করেন কৃষিমন্ত্রীও। কিন্তু এতেও বিক্ষোভ থামেনি। বিক্ষোভকারীদের একমাত্র দাবি ছিল প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলিসহ পুরো মন্ত্রিসভার পদত্যাগ।
অবশেষে বিক্ষোভকারীদের চাপের মুখে প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি কিছুক্ষণ আগে পদত্যাগ করেছেন। এরপরও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। আন্দোলনকারীরা এখনো রাজপথে অবস্থান করছে।
অনিশ্চয়তায় বাংলাদেশ দল
ক্রাউন ইম্পেরিয়াল হোটেলে আটকে থাকা বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার আমের খান জানান, আমরা বুঝতে পারছি না কী হবে। সবকিছু আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। বেলা ৩টার ফ্লাইট, অথচ এখনো আমরা হোটেল লবিতে অপেক্ষা করছি।
তিনি আরও বলেন, অল নেপাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (ANFA) এখনো পর্যন্ত তাদের নিরাপদে বিমানবন্দরে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে পারেনি। এই পরিস্থিতিতে শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তারা কোনো ঝুঁকি নিতে রাজি নন।
এর আগে একবার নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে তারা বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হলেও বিক্ষোভকারীদের কারণে ফিরে আসতে বাধ্য হন।