ইকুয়েডরের ফুটবলার জোনাথন গঞ্জালেজকে (৩১) শুক্রবার গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে দেশটিতে এ নিয়ে তিনজন ক্রীড়াবিদ হত্যার শিকার হলেন বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ।
‘স্পিডি’ নামে পরিচিত এই মিডফিল্ডারকে এসমেরালদাস প্রদেশের একটি বাড়ির ভেতরে গুলি করা হয়। কলম্বিয়ার সীমান্তবর্তী উপকূলীয় এ অঞ্চল দীর্ঘদিন ধরে মাদকচক্রের সহিংসতার কারণে অস্থিতিশীল।
হামলায় আরো একজন গুলিবিদ্ধ হন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। তবে হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্য সম্পর্কে কিছু জানায়নি পুলিশ।
গঞ্জালেজ বর্তমানে দেশটির দ্বিতীয় বিভাগের ক্লাব ২২ দে হুলিও এফসিতে খেলছিলেন। এর আগে তিনি প্যারাগুয়ের অলিম্পিয়া ও মেক্সিকোর লিয়ন ক্লাবের জার্সিও গায়ে জড়িয়েছিলেন। ইকুয়েডরের হয়ে তিনি চারটি ম্যাচ খেলেছেন।
গত ১০ সেপ্টেম্বর মান্তা শহরে দ্বিতীয় বিভাগের দল এক্সাপ্রোমো কোস্টা এফসির দুই ফুটবলার মাইকোল ভ্যালেন্সিয়া ও লেয়ান্দ্রো ইয়েপেজ সশস্ত্র হামলার শিকার হন। ভ্যালেন্সিয়া ঘটনাস্থলেই মারা যান, আর ইয়েপেজ দুই দিন পর হাসপাতালে মৃত্যু বরণ করেন।
ক্লাব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, খেলোয়াড়রা আসলে অন্য কাউকে উদ্দেশ্য করে চালানো হামলার শিকার হয়েছিলেন।
মাদকচক্রের প্রভাবে ইকুয়েডরে হত্যার হার কয়েক বছরের ব্যবধানে নাটকীয়ভাবে বেড়েছে। ২০১৮ সালে প্রতি লাখে যেখানে হত্যার হার ছিল ৬, ২০২৩ সালে তা বেড়ে সর্বোচ্চ ৪৭-এ পৌঁছায়। যদিও গত বছর তা কিছুটা কমে ৩৮-এ নেমেছে।
ফুটবলার গঞ্জালেজের মৃত্যুতে ইকুয়েডর ফুটবল ফেডারেশন (এফইএফ) এবং দেশটির বিভিন্ন ক্লাব শোক প্রকাশ করেছে। তারা নিহত ফুটবলারের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছে।