রবিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৩, ২০২৫, ০৮:৪৪ পিএম

কোপা সুদামেরিকানা জিতল আর্জেন্টাইন ক্লাব লানুস

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৩, ২০২৫, ০৮:৪৪ পিএম

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘ ১২ বছরের অপেক্ষা শেষে আবারও মহাদেশীয় ফুটবলে শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরল আর্জেন্টাইন ক্লাব লানুস। ২০২৫ সালের কোপা সুদামেরিকানা ফাইনালে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ে তারা টাইব্রেকারে ৫-৪ গোলে পরাজিত করেছে শক্তিশালী ব্রাজিলিয়ান ক্লাব অ্যাটলেটিকো মাইনিরোকে।

প্যারাগুয়ের রাজধানী অ্যাসুন্সিয়নের ডিফেনসোরেস দেল চাকো স্টেডিয়ামে রোববার অনুষ্ঠিত ফাইনালটি ছিল চরম সতর্কতা ও কৌশলের এক প্রদর্শনী। ১২০ মিনিটের খেলা গোলশূন্য থাকার পর ম্যাচের ভাগ্য গড়ায় পেনাল্টি শুটআউটে।

আর সেখানেই বাজিমাত করেন লানুসের গোলরক্ষক নাহুয়েল লোসাদা, যিনি অবিশ্বাস্য দক্ষতায় মাইনিরোর গুরুত্বপূর্ণ শট রুখে দিয়ে দলকে এনে দেন বহু আকাঙ্ক্ষিত এই শিরোপা।

এটি লানুসের ইতিহাসের দ্বিতীয় কোপা সুদামেরিকানা শিরোপা। এর আগে ২০১৩ সালে তারা প্রথমবার এই টুর্নামেন্টের ট্রফি জিতেছিল। এই জয়ের মাধ্যমে ক্লাবের বর্তমান কোচ মৌরিসিও পেলেগ্রিনো-ও নিজের কোচিং ক্যারিয়ারের প্রথম বড় আন্তর্জাতিক শিরোপা অর্জন করলেন।

ম্যাচের শুরু থেকেই দুই দলই কৌশলগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চেয়েছিল। লানুস অভিজ্ঞ উইঙ্গার এডুয়ার্ডো সালভিও-কে ব্যবহার করে ডান প্রান্ত থেকে আক্রমণ তৈরির চেষ্টা করে। অন্যদিকে, ব্রাজিলিয়ান ক্লাব মাইনিরো কোচ জর্জ সাম্পাওলির নির্দেশনায় ধৈর্যশীল বল পজেশন ও দূর থেকে শটের মাধ্যমে খেলা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে।

প্রথমার্ধের সবচেয়ে বড় সুযোগ আসে ২৬ মিনিটে, যখন মাইনিরোর বার্নার্ডের ফ্রি-কিক লানুসের গোলরক্ষক লোসাদাকে ফাঁকি দিয়েও পোস্টে আঘাত করে ফিরে আসে। এরপর ম্যাচটি লড়াই ও ঘন ঘন ফাউলের কারণে কিছুটা ছন্দ হারায়।

দ্বিতীয়ার্ধে মাইনিরো চাপ বাড়ালেও, লানুসের ডিফেন্স জুটি জোসে কানালে ও কার্লোস ইজিকোর্ডোজ দারুণ দৃঢ়তা দেখিয়ে মাইনিরোর তারকা ফরোয়ার্ড হাল্কের একাধিক আক্রমণ রুখে দেন। অতিরিক্ত সময়ে মাইনিরো গুস্তাভো স্কার্পা ও বিয়েলকে নামিয়ে শক্তি বাড়ালেও কোনো দলই গোলের দেখা পায়নি।

ম্যাচ যখন পেনাল্টি শুটআউটে গড়ায়, তখন লানুসের নায়ক হিসেবে আবির্ভূত হন নাহুয়েল লোসাদা। তার দুর্দান্ত সেভ নিশ্চিত করে যে ট্রফি এবার বুয়েনোস আইরেসের উপকণ্ঠে অবস্থিত ক্লাব লানুসের ঘরেই যাচ্ছে। লানুসের ৫-৪ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত হওয়ার সাথে সাথেই স্টেডিয়ামে শুরু হয় উল্লাস।

শিরোপা জয়ের পুরস্কারস্বরূপ লানুস কনমেবল থেকে মোট ৯,৮৪৫,০০০ ডলার অর্থ পুরস্কার পাচ্ছে, যার মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ৬.৫ মিলিয়ন ডলার অন্তর্ভুক্ত। রানার-আপ অ্যাটলেটিকো মাইনিরো অর্জন করেছে ৫,৭৩০,০০০ ডলার।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!