বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, আওয়ামী লীগের মতো জামায়াত প্রশাসনকে কবজা করে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করে ক্ষমতায় যাওয়ার দিবাস্বপ্নে বিভোর। আওয়ামী আমলের গুম-খুন মোকাবিলা করে নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করা জনগণ জামায়াতের ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করার খায়েশ মিটিয়ে দেবে। জামায়াতের এই নির্লজ্জ আওয়ামীকরণ দেখে জনগণ ক্ষুব্ধ। জামায়াত ও আওয়ামী লীগ মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ।
রোববার (২৩ নভেম্বর) বিকালে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের ভুবনকুড়া ইউনিয়নের তেলিখালী বাজারে নির্বাচনি গণসংযোগ শেষে পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
পথসভায় এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, গুপ্ত রাজনীতি করা জমায়াত গুপ্তভাবে প্রশাসনকে জামায়াতীকরণ করে জনগণের ভোট হাইজ্যাক করতে চায়। এর মাধ্যমে গুপ্ত ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার সুপ্ত প্রতিভা উন্মোচিত হয়েছে। চট্টগ্রামের জামায়াত নেতা প্রশাসনকে জামায়তের কথায় ওঠা-বসার প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে ওসিকে তাদের বাড়ির চৌকিদারের মতো তাদের পেছনে পেছনে হাঁটার ও প্রটোকল দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে নির্বাচন নিয়ে জামায়াতি ষড়যন্ত্র বিজ্ঞাপনের মতো ফ্রুটিকা খেয়ে ফাঁস করে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, জমায়াত যে গণতন্ত্র ও জনগণের স্বাধীন ভোটাধিকারে বিশ্বাস করে না, জনগণকে তাদের দরকার নাই। নেতাদের দরকার অনুগত প্রশাসন-জমায়াত নেতার বক্তব্যে তা প্রমাণিত হয়েছে। জমায়াত প্রথমে পিআর, গণভোটসহ নিত্য নতুন অবাস্তব দাবি তুলে রাজপথে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে বিলম্বিত করার অপচেষ্টা করেছে। সেই অপচেষ্টা ব্যর্থ হবার পর এখন ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ষড়যন্ত্র করছে। তিনি জনগণকে জামায়তের এই গুপ্ত ও বর্ণচোরা রাজনীতি সর্ম্পকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এরা দেশকে মগের মুল্লুক বানাতে চায়। জনগণের ভোটে জমায়াত কখনোই নির্বাচিত হতে পারবে না। এজন্য তারা নির্বাচন চায় না, ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে।
তিনি বলেন, নির্বাচিত হয়ে উন্নত, সমৃদ্ধ ও আলোকিত হালুয়াঘাট-ধোবাউড়া গড়ে তুলতে নিজেকে উৎসর্গ করবেন। অতীতের ভুল-ভ্রান্তি পরিহার করে হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়ায় রাজনীতি, ধর্ম যার যার, হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া সবার। এই নীতির আলোকে প্রতিহিংসা নয়, সকলের জন্য সম্প্রীতি, সৌহার্দ ও নিরাপদ জনপদ গড়ে তুলবেন।
ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক রমজান আলী জহিরের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল মান্নান মাস্টারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত পথসভায় উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আসলাম মিয়া বাবুল, যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী ফরিদ আহমেদ পলাশ, ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব জাকির হোসেন, উত্তর জেলা যুব দলের সহসভাপতি তারিকুল ইসলাম চঞ্চল, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি নাঈমুর আরেফিন পাপন, উপজেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক শেখ সাদির, ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন, ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দুলাল সরকার বক্তব্য রাখেন।


সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন