ঢাকা মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫

বোর্ডরুমের ভুলে মেসি চলে আসতে যাচ্ছিল ম্যানচেস্টার সিটিতে

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৯, ২০২৫, ০৩:২৪ পিএম
মার্ক হিউজ ম্যানচেস্টার সিটি ফুটবল ক্লাবের সাবেক ম্যানেজার ও লিওনেল মেসি। ছবি- সংগৃহীত

ম্যানচেস্টার সিটি ১৫ বছর আগে বার্সেলোনার অনুকরণ করতে চেয়েছিল। তারা শুরু করেছিল ক্লাবের কাঠামো পরিবর্তন থেকে—চিফ এক্সিকিউটিভ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন ফেরান সোরিয়ানো, স্পোর্টিং ডিরেক্টর হিসেবে টিকি বেগিরিস্তেইন, এবং পরে কোচ হিসেবে দলে আনা হলো পেপ গার্দিওলা। তবে একমাত্র বিষয় যা তখন অনুপস্থিত ছিল, তা হলো লিওনেল মেসি।

বাস্তবতা হলো, মেসিকে সিটির দলে আনার একটি সুযোগ ২০০৮ সালে এসেছিল—কিন্তু সেটা ছিল এক বিশাল ভুল বোঝাবুঝি।

কীভাবে ভুল বোঝাবুঝি হলো?

২০০৮ সালে সিটি নতুন মালিক আবুধাবি ইউনাইটেড গ্রুপের হাতে চলে আসে। ক্লাব তখন আর্থিক সঙ্কটে ছিল, এবং সেই সময় কোচ মার্ক হিউজ বলেন, ট্রেনিং গ্রাউন্ড সম্পূর্ণ অপ্রস্তুত ছিল। আমি ভাবেছিলাম মানুষ ও সুযোগ সুবিধা সব শীর্ষ মানের হবে, কিন্তু বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন ছিল।

কিন্তু সব কিছু বদলে যায় ১ সেপ্টেম্বর। হিউজ গল্ফ খেলতে খেলতে ফোন পান সিটির নতুন সিইও গ্যারি কুক থেকে। কুক জানান, নতুন মালিকরা ‘মার্কারি সাইনিং’ চাইছে। অর্থাৎ, বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের একজনকে দ্রুত আনা দরকার। সমস্যা হলো, সেই সময়টি ট্রান্সফার ডেডলাইন ডে।

সিটিতে তখন এক বিশাল গোলমাল চলছে। হিউজ মনে করছিলেন, ম্যানচেস্টার সিটি তখনো প্রিমিয়ার লিগের মাঝামাঝি ক্লাব, তাই সেরা খেলোয়াড়রা খুব আগ্রহী নয়। তখনই একটি ঘটনা ঘটল, যা ভুল বোঝাবুঝির জন্ম দিল।

গ্যারি কুক এবং সাবেক মালিকের সহকারী পায়রোজ পিয়েমপংসান্টের মধ্যে একটি কনফারেন্স কল চলছিল। পায়রোজ বলছিলেন, ‘হ্যাঁ, হ্যাঁ, হ্যাঁ! খুব মেশি, মেশি, সব মেশি হয়ে গেছে।

ইংরেজি উচ্চারণে এটা ভুলভাবে শোনা হয়েছিল ‘আমরা মেসি আনি!’ ঠিক এই ভুল বোঝাবুঝি থেকেই সিটির কর্মকর্তারা ভেবেছিল, তারা মেসিকে দলে নেওয়ার চেষ্টা করছে।

পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে গিয়েছিল রোবিনহোকে নিয়ে। তিনি ম্যানচেস্টারে আসার সময় ভুল ভেবেছিলেন, যে তিনি চেলসিতে যাচ্ছেন। তবে শেষ পর্যন্ত রোবিনহোই সিটির হয়ে খেলতে শুরু করল, যা ক্লাবের নতুন যুগের শুরুর চিহ্ন ছিল।

পেপ গার্দিওলা যখন ২০১৬ সালে সিটিতে কোচ হন, তখন বারবার শোনা যাচ্ছিল যে তিনি মেসিকে আনতে চাইছেন। ২০২০ সালে মেসি বার্সেলোনা ছাড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও শেষ পর্যন্ত কাতালোনিয়ায় থাকেন।

২০২১ সালে বার্সেলোনার আর্থিক সমস্যার কারণে মেসি ক্লাব ছাড়েন, কিন্তু পিএসজি তার দিকে বেশি আগ্রহ দেখায়। সিটি কখনো আনুষ্ঠানিকভাবে মেসির জন্য কোনো অফার দেয়নি।