রবিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মে ২৯, ২০২৫, ০১:৩০ পিএম

জোয়ারের পানিতে বিচ্ছিন্ন হাতিয়া

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মে ২৯, ২০২৫, ০১:৩০ পিএম

প্লাবিত নিঝুমদ্বীপ।                ছবি: সংগৃহীত

প্লাবিত নিঝুমদ্বীপ। ছবি: সংগৃহীত

নিম্নচাপের প্রভাবে নোয়াখালীতে একটানা বৃষ্টিপাত হচ্ছে এবং বইছে ঝড়ো বাতাসও। হাতিয়া উপজেলা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর প্রচণ্ডভাবে উত্তাল হয়ে উঠেছে। 

বুধবার (২৮ মে) সকাল থেকেই নিঝুমদ্বীপের চারপাশের নদ-নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫ থেকে ৬ ফুট পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে নিঝুমদ্বীপের ৯টি ওয়ার্ডের বাসিন্দারা পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। অনেকের ঘরে পানি ঢুকে পড়েছে। বিপাকে পড়েছে এলাকার সাধারণ মানুষ। তাই নোয়াখালীর লোকজন হাতিয়ায় যেতে পারছেন না এবং হাতিয়া থেকে কেউ নোয়াখালীতে আসতে পারছেন না।

হাতিয়ার বুড়িরচর ইউনিয়নের বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বুধবার থেকে এখন পর্যন্ত টানা বৃষ্টি হচ্ছে। সঙ্গে বইছে ঝড়ো বাতাস। বিভিন্ন এলাকায় জোয়ারের পানি ঢুকে গেছে। এ পরিস্থিতিতে হাতিয়ার বাসিন্দারা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন।’

বুধবার (২৮ মে) ঝুঁকিপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে বেলা সাড়ে ১১টার পর থেকে হাতিয়ার সঙ্গে সারা দেশের সব ধরনের নৌ-যোগাযোগ সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে উপজেলা প্রশাসন।

জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির জানান, বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নোয়াখালীতে ৬৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের লঘুচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। নিম্নচাপটি উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে আরও ঘণীভূত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরসমূহের ওপর দিয়ে দমকা ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। 

তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে সাগরে ৩ নম্বর স্থানীয় সংকেত জারি করা হয়েছে। তাই উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব ধরনের মাছধরার নৌকা ও ট্রলারকে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সেখানে থাকতে বলা হয়েছে।

নিঝুমদ্বীপের বাসিন্দা বেলাল হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বেড়িবাঁধ না থাকায় সহজেই জোয়ারের পানি ঢুকে নিঝুমদ্বীপ প্লাবিত হয়। ইতোমধ্যে নামারবাজার, শতফুল বন্দরসহ বিভিন্ন এলাকা জোয়োরের পানি ঢুকে পড়েছে।’

জেলা প্রশাসন থেকে জানান হয়, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র।

Shera Lather
Link copied!