বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া গভীর নিম্নচাপটি স্থলভাগে এসে এখন রূপ নিয়েছে স্থল নিম্নচাপে। এটি বর্তমানে অবস্থান করছে রাজধানী ঢাকা এবং আশপাশের এলাকায়।
শুক্রবার (৩০ মে) সকাল সাড়ে আটটার দিকে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গভীর নিম্নচাপটি এখন অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে এবং আজকের মধ্যেই এটি লঘুচাপে পরিণত হতে পারে। তবে এর প্রভাবে আজ সারাদিনই বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আগামীকাল শনিবারও দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদ মো. শাহিনুল ইসলাম জানান, গত বুধবার রাতেই নিম্নচাপটি স্থলভাগে উঠে সাতক্ষীরা ও আশপাশের এলাকায় অবস্থান নেয়। সেখান থেকে এটি ধীরে ধীরে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছে। আজকের মধ্যেই এটি আরও দুর্বল হয়ে পড়বে।
নিম্নচাপের প্রভাবে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকেই দেশের বিভিন্ন এলাকায় টানা বর্ষণ শুরু হয়। এতে রাজধানীসহ অনেক শহরে দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। দেশের কিছু কিছু অঞ্চলে ফেরি চলাচল ব্যাহত হয়।
দক্ষিণাঞ্চল ও উপকূলীয় জেলাগুলোতে বৃষ্টির তীব্রতায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। নদ-নদীতে পানি বাড়তে শুরু করায় হঠাৎ করে অনেক জায়গায় দেখা দেয় আকস্মিক প্লাবন। ভোলা ও পটুয়াখালীর কয়েকটি স্থানে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় নিম্নাঞ্চল পানিতে তলিয়ে গেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজ ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের বহু জায়গায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়ার সংজ্ঞা অনুযায়ী, কোনো এলাকায় ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হলে তা ‘ভারী বৃষ্টি’ এবং ৮৮ মিলিমিটারের বেশি হলে ‘অতিভারী বৃষ্টি’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
আবহাওয়াবিদ শাহিনুল ইসলাম আরও জানান, নিম্নচাপটি আজ দিনের শেষ দিকে লঘুচাপে পরিণত হলেও এর প্রভাবে সারা দেশে বৃষ্টিপাত চলবে। এর বর্তমান গতিপথ সিলেটের দিকে।
এদিকে নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলজুড়ে শুরু হয়েছে ঝড়ো হাওয়া। অনেক এলাকায় উঁচু জোয়ার ও প্রবল বৃষ্টিতে জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। নদীর পাশের নিচু এলাকা ও শহরের বেশ কিছু অঞ্চল পানির নিচে চলে গেছে। টানা বৃষ্টির ফলে জলাবদ্ধতা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
