মৌসুমি বায়ু বিদায় নিয়েছে। ফলে দেশের অধিকাংশ অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে গেছে। তবে এখনই বৃষ্টি পুরোপুরি শেষ হচ্ছে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) নাগাদ বঙ্গোপসাগর ও এর আশপাশের এলাকায় নতুন একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এর প্রভাবে আকাশ মেঘলা থাকবে এবং কিছু এলাকায় বৃষ্টি হতে পারে। পরবর্তীতে এই লঘুচাপ নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে, যা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার ঝুঁকিও তৈরি করছে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, ২৪ অক্টোবরের দিকে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় লঘুচাপটি আরও সক্রিয় হতে পারে। আজ রোববার ও আগামীকাল সোমবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু স্থানে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। অন্যদিকে দেশের বাকি অংশে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে এবং আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে।
সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে। তবে বর্ধিত পাঁচ দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বর্তমানে মৌসুমি লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যার বিস্তৃতি উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত। গতকাল (শনিবার) চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। সীতাকুণ্ডে ৩, কক্সবাজারের আমবাগানে ৪ ও কুতুবদিয়ায় ২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এদিন সিলেটে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং নীলফামারীর ডিমলায় সর্বনিম্ন ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ‘২১ অক্টোবরের মধ্যে একটি নতুন লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে এবং এটি আরও ঘনীভূত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এখনই নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না এটি নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে কি না।’
অক্টোবরের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে তিনটি লঘুচাপের কথা বলা হয়েছিল। এর একটি ইতিমধ্যে সৃষ্টি হয়েছে, বাকি দুটি এখনো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে একটি নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
বাংলাদেশে প্রতিবছর দুই মৌসুমে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা থাকে একটি এপ্রিল-মে মাসে, মৌসুমি বায়ুর আগমনের আগে এবং অন্যটি অক্টোবর-নভেম্বরে, মৌসুমি বায়ু বিদায়ের পর। বিশেষজ্ঞদের মতে, চলতি অক্টোবর মাসেও বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের ঝুঁকি বিদ্যমান।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন