ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘বাংলাদেশকে আমরা ভালোবাসি। তাঁরাও আমাদের এবং বাংলাকে ভালোবাসেন। তাঁদের এবং আমাদের ভাষা, সাহিত্য ও পোশাক এক। আমরা চাই না ধর্মে-ধর্মে বিভেদ করা হোক এবং তার রেশ আমাদের উপর পড়ুক। মন্দির, মসজিদ, গির্জা, গুরদোয়ারা সবই থাকবে। প্রত্যেকেই যেন তাঁর নিজস্ব ধর্ম পালন করতে পারেন।’
বৃহস্পতিবার ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান থেকে ফিরে কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম আজকালের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
বাংলাদেশের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের ঘটনায় আমরা দুঃখিত, মর্মাহত। অনেক মানুষ আগেও মারা গেছেন। এখনও অত্যাচারিত হচ্ছেন। আগেও অনেক ছাত্র-ছাত্রী মারা গেছেন। কোনও ধর্মের মানুষের ওপর অত্যাচারই আমরা সমর্থন করি না।’
এক্ষেত্রে যে রাজ্য সরকারের কিছু করার নেই সেকথা বোঝাতে গিয়ে মমতা বলেন, `আমাদের ভূমিকা খুবই সীমিত। কারণ, দুটো আলাদা দেশ। ভারত সরকার এক্ষেত্রে পদক্ষেপ নিতে পারে।`
সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে বাংলাদেশ সরকার গত কয়েকদিন আগে গ্রেপ্তার করে। তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরপরেই গোটা বাংলাদেশ জুড়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা পথে নেমে প্রতিবাদে সামিল হন। অভিযোগ ওঠে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের।
এ নিয়ে মমতা বলেন, ‘আমাদের বক্তব্য অত্যন্ত স্পষ্ট। আমরা কোনও ধর্ম, দেশ বা জাতির ওপর অত্যাচার সমর্থন করি না। আমরা সবাই এক। গত একবছর ধরে হওয়া এই ধরনের সমস্ত ঘটনার জন্য আমরা দুঃখিত। কেন্দ্র সরকারও বিশেষ একটি ধর্মের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে। আমরা চাই মন্দির, মসজিদ, গির্জা, গুরদোয়ারা সবই থাকবে। প্রত্যেকেই যেন তাঁর নিজস্ব ধর্ম পালন করতে পারেন।’

 
                             
                                     সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন 
                                     
                                     
                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                             
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
       
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন