বৃহস্পতিবার, ০১ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: মার্চ ২১, ২০২৫, ১২:০০ পিএম

স্বামীকে ১৫ টুকরো করলেন স্ত্রী

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: মার্চ ২১, ২০২৫, ১২:০০ পিএম

স্বামীকে ১৫ টুকরো করলেন স্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের উত্তর প্রদেশের মেরঠের এক মার্চেন্ট নেভি অফিসারকে হত্যা করা হয় নৃশংসভাবে। তাকে কেটে ১৫ টুকরো করে একটি ড্রামের ভেতর ভরে সিমেন্ট দিয়ে সিল করে দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।
পুলিশ জানায়, এই ভয়ংকর অপরাধের পেছনে ছিল সৌরভ রাজপুতের স্ত্রী মুসকান রস্তোগি এবং তার প্রেমিক সাহিল শুক্লা। তদন্তে উঠে আসে এক হৃদয়বিদারক ভালোবাসা, বিশ্বাসঘাতকতা ও পরকীয়া সম্পর্ক এবং নির্মমতার গল্প।

সৌরভ রাজপুত ও মুসকান রস্তোগির বিয়ে হয়েছিল ২০১৬ সালে। প্রেমের বিয়ে। স্ত্রীকে বেশি সময় দিতে চেয়ে সৌরভ তার মার্চেন্ট নেভির চাকরি ছেড়ে দেন। কিন্তু পরিবারের সদস্যরা তার এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি। বাড়িতে অশান্তি শুরু হলে, সৌরভ স্ত্রীকে নিয়ে আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নেন। ২০১৯ সালে তাদের কন্যাসন্তান জন্ম নেয়। তবে এই সুখ দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।  

সৌরভ জানতে পারেন, মুসকান তারই বন্ধু সাহিলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছে। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে তিক্ততা বাড়তে থাকে, এমনকি তারা বিবাহবিচ্ছেদের কথাও ভাবতে শুরু করেন। তবে শেষ পর্যন্ত মেয়ের ভবিষ্যতের কথা ভেবে সৌরভ পিছু হটেন এবং পুনরায় মার্চেন্ট নেভিতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ২০২৩ সালে তিনি কাজের কারণে দেশের বাইরে চলে যান।  

২০২৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সৌরভের মেয়ে ছয় বছরে পা দেয়। মেয়ের জন্মদিন উদযাপন করতে সৌরভ ২৪ ফেব্রুয়ারি দেশে ফেরেন। এ সময় মুসকান ও সাহিল পরিকল্পনা করে হত্যার।  

পুলিশকে দেওয়া জবানবন্দিতে তারা স্বীকার করেছেন যে, ৪ মার্চ মুসকান সৌরভের খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেন। সৌরভ ঘুমিয়ে পড়লে, মুসকান ও সাহিল মিলে তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। এরপর তার দেহকে ১৫ টুকরো করে ড্রামে ভরে সিমেন্ট দিয়ে সিল করে ফেলে। পরিকল্পনা ছিল সময়মতো লাশ গায়েব করার।  

পাড়ার মানুষ সৌরভের ব্যাপারে জানতে চাইলে মুসকান জানায়, সে পাহাড়ি এলাকায় ঘুরতে গেছে। সন্দেহ দূর করতে সাহিল ও মুসকান সৌরভের মোবাইল নিয়ে মানালি ভ্রমণে যায় এবং তার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে ছবি আপলোড করতে থাকে।  

কিন্তু সৌরভের পরিবারের লোকজন তাকে ফোনে না পেয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে এবং পুলিশের কাছে অভিযোগ জানায়।  

অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ মুসকান ও সাহিলকে হেফাজতে নেয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা ভেঙে পড়ে এবং হত্যার কথা স্বীকার করে। তারা পুলিশকে লাশের অবস্থান জানায়।  

কিন্তু ড্রামের সিমেন্ট এতটাই শক্ত হয়ে গিয়েছিল যে হাতুড়ি ও ছেনি দিয়ে ভাঙার চেষ্টা ব্যর্থ হয়। অবশেষে ড্রামটি মর্গে নিয়ে যাওয়া হয় এবং বৈদ্যুতিক ড্রিল মেশিন ব্যবহার করে ১৪ দিন পর সৌরভের মরদেহের অংশ উদ্ধার করা হয়।  

মেরঠ শহরের পুলিশ প্রধান আয়ুষ বিক্রম সিং জানান, সৌরভের পরিবার অভিযোগ দায়ের করার পর তার স্ত্রী ও তার প্রেমিককে আটক করা হয়।  

পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, তদন্তের সময় অপরাধীরা স্বীকার করেন যে, ৪ মার্চ সৌরভকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। তারপর দেহ কেটে টুকরো টুকরো করে ড্রামে ভরে সিমেন্ট দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়। অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং আদালতে উপস্থাপন করা হবে। 

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস 

আরবি/এসএস

Link copied!