বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া আগামী সোমবার (৫ মে) দেশে ফিরতে পারেন। যুক্তরাজ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় আসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে সেটি সম্ভব না হলে বাণিজ্য শ্রেণির (বিজনেস ক্লাস) উড়োজাহাজে দেশে ফেরার পরিকল্পনাও রয়েছে।
এজন্য সহযোগিতা চেয়ে খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার।
এবিএম আব্দুস সাত্তার জানান, ‘আগামী রোববার ও সোমবার ধরে তার ফ্লাইট ও অন্যান্য প্রস্তুতির পরিকল্পনা চলছে। এখনো এয়ার অ্যাম্বুলেন্স চূড়ান্ত হয়নি, আমরা সেটির অপেক্ষায় আছি।’
উল্লেখ্য, গত ৭ জানুয়ারি কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে যুক্তরাজ্যে গমন করেন খালেদা জিয়া। সেখানে তাকে লন্ডনের একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয় এবং ১৭ দিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে সরাসরি ছেলে তারেক রহমানের বাসায় উঠেন। তার চিকিৎসা চলছে লন্ডন ক্লিনিকের লিভার বিশেষজ্ঞ জন প্যাট্রিক কেনেডির নেতৃত্বাধীন মেডিকেল বোর্ডের অধীনে।
জানা গেছে, খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার দুই পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান (তারেক রহমানের স্ত্রী) ও শর্মিলা রহমান (আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী) দেশে ফিরবেন। তবে খালেদা জিয়ার তিন নাতনি সবাই একসঙ্গে ফিরবেন কিনা, সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বিশেষ করে দীর্ঘদিন পর দেশে ফিরছেন ডা. জুবাইদা রহমান। এক-এগারো সরকারের সময় তিনি স্বামীর সঙ্গে লন্ডনে চলে যান এবং এরপর থেকে সেখানেই অবস্থান করছেন। অন্যদিকে, শর্মিলা রহমান নিয়মিত আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকলেও এবার খালেদা জিয়ার সঙ্গেই ফিরছেন।
বিএনপির সূত্রে জানা গেছে, রোজার ঈদের পর থেকেই খালেদা জিয়ার পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু হয়, যা কয়েক সপ্তাহ ধরে চলে। এই সময়ে তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলেও জানানো হয়।
৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনি সমস্যা, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এবং আর্থ্রাইটিসসহ নানা জটিল রোগে ভুগছেন। লন্ডনের চিকিৎসকরা উচ্চ ঝুঁকি বিবেচনায় তাঁর লিভার প্রতিস্থাপন না করার সিদ্ধান্ত নেন।
আপনার মতামত লিখুন :