ইসরায়েলি অবরোধে গাজা উপত্যকায় ভয়াবহ খাদ্য সংকট চলছে। এ সময়ে কিছু সশস্ত্র অপরাধী দল আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থার খাবার গুদাম ও কমিউনিটি কিচেনে হামলা চালিয়ে খাবার লুট করছে।
এইসব লুটকারীদের মধ্যে ৬ জন ধরা পড়েছে, তাদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করছে হামাস।
হামাস বলছে, ‘এই অপরাধীরা ইসরায়েলের সঙ্গে মিলে কাজ করছে এবং গাজায় অরাজকতা ছড়াচ্ছে। একটি ঘটনায় লুটকারীদের হামলায় একজন ফিলিস্তিনি পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন।’
গাজার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ ধরনের অপরাধীদের কঠোরভাবে দমন করা হবে। জনগণকে আতঙ্কে রাখা বা তাদের খাবার ও সম্পদ লুটের কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না।
গাজার মিডিয়া দপ্তরের প্রধান ইসমাইল আল-সাওয়াবতা বলেন, ‘ইসরায়েলের সহায়তায় এসব লুটকারীরা কাজ করছে। যারা লুটপাটে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে প্রমাণ পেলে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হচ্ছে।’
ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা সাফা জানিয়েছে, গাজায় লুটকারীদের ঠেকাতে পাঁচ হাজার সদস্যের একটি নতুন নিরাপত্তা বাহিনী গঠন করা হয়েছে।
অন্যদিকে ইসরাইল গাজা পুরোপুরি দখল করার নতুন পরিকল্পনা নিয়েছে। ইসরাইলি মন্ত্রিসভা এই পরিকল্পনার অনুমোদন দিয়েছে। এর আওতায় গাজার নিয়ন্ত্রণ নেওয়া, জনগণকে দক্ষিণে সরিয়ে নেওয়া এবং নিরাপত্তার নামে কিছু ফিলিস্তিনিকে দেশত্যাগে উৎসাহিত করার কথা বলা হয়েছে।
এছাড়াও ইসরায়েলি হামলা গাজায় অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি হামলায় ২৩ জন নিহত ও ১১৯ জন আহত হয়েছে। সব মিলিয়ে এই ১৯ মাসের আগ্রাসনে মারা গেছেন ৫২ হাজার ৫৬৭ জন এবং আহত হয়েছেন ১ লাখ ১৮ হাজার ৬১০ জন।