মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কাতারের পক্ষ থেকে বিলাসবহুল একটি বিমান উপহার পাওয়ার প্রস্তাবকে ‘চমৎকার উদারতা’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমি কি এতটাই বোকা যে বলব- না, আমরা এত দামি একটি বিমান চাই না? আমার মতে, এটা দারুণ এক প্রস্তাব।’
বিমানের মূল্য প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার, যা প্রেসিডেন্টের ব্যবহারের জন্য এয়ার ফোর্স ওয়ান হিসেবে প্রস্তাব করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমে দাবি উঠেছে।
তবে, কাতারের ব্যাখ্যা: ‘উপহার’ নয়, সাময়িক ব্যবহার
কাতার সরকার পরবর্তীতে এক বিবৃতিতে জানায়, ‘এই বিমান উপহার হিসেবে দেওয়া হচ্ছে না। এটি শুধু সাময়িকভাবে ব্যবহারের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে, যা এখনো উভয় দেশের আইনি বিভাগ পর্যালোচনা করছে।’
যুক্তরাষ্ট্রে সমালোচনার ঝড়
ডেমোক্র্যাট সিনেটর ও নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা এই প্রস্তাবের নৈতিকতা ও নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, এই প্রস্তাব গ্রহণ করলে তা প্রেসিডেন্টের স্বার্থের সংঘাত সৃষ্টি করতে পারে এবং যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা ও বিদেশনীতি প্রভাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
কয়েকজন সিনেটর ইতোমধ্যেই কংগ্রেসে নিন্দা প্রস্তাবের জন্য ভোটের দাবি তুলেছেন।
বিশ্লেষণ: কীভাবে বিতর্কে পরিণত হলো বিষয়টি?
কাতার মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র হলেও, তার সামরিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে বিতর্ক বরাবরই আছে।
একটি তৃতীয় দেশের কাছ থেকে রাষ্ট্রপ্রধান ‘উপহার’ গ্রহণ করলে সেটা যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল নীতিমালার বিরোধী হতে পারে, বিশেষত যখন বিষয়টি এত ব্যয়বহুল এবং রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার সঙ্গে সম্পৃক্ত।


-20250513124040.webp)
সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন