মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ডোনাল্ড ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে ‘গাজা ফিলিস্তিনের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং এটি বিক্রির কোনো বস্তু নয়’ এ কথাগুলো স্পষ্টভাবে বলেছেন গাজার সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা বাসেম নাঈম। তিনি আরও বলেছেন, ইসরায়েলি সরকারের সঙ্গে যে কোনো আলোচনা শুরুর আগে গাজা উপত্যকায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দিতে হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট এর ‘ফ্রিডম জোন’ প্রস্তাবের প্রত্যুত্তরে এই মন্তব্য করেন বাসেম নাঈম। একই সঙ্গে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার প্রস্তাবটি ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
সৌদি গণমাধ্যম আল-হাদাথকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নাঈম বলেন,‘গাজা ফিলিস্তিনের অংশ এবং এটা বিক্রির জন্য কোনো পণ্য নয় । ইসরাইলের সঙ্গে যে কোনো আলোচনা শুরুর আগে গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দিতে হবে।’
হামাস নেতা জোর দিয়ে বলেন, ‘আলোচনার আগে খাদ্য ও ওষুধ সরবরাহে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হবে।’
সম্প্রতি কাতারে চারদিনব্যপি উপসাগরীয় সফর (গালফ ট্যুর) এর এক ব্যবসায়িক সম্মেলনে ট্রাম্প আবারও তার ‘গাজা রূপান্তর পরিকল্পনা’র কথা তুলে ধরেন এবং বলেন, ‘ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে এখন আর রক্ষার মতো কিছু নেই’।
ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তিনি প্রথম এই প্রস্তাব করেন যা আন্তর্জাতিকভাবে তীব্র সমালোচিত হয়। ফিলিস্তিনিরা, আরব দেশগুলো এবং জাতিসংঘ এই পরিকল্পনার বিরোধিতা করে সতর্ক করে দেয় যে, এটি জাতিগত নির্মূলের দিকে নিয়ে যেতে পারে।
দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় তাদের ভয়াবহ হামলা অব্যাহত রেখেছে। বিমান, স্থল ও সমুদ্রপথে পরিচালিত অব্যাহত হামলায় মাত্র একদিনেই অন্তত ১৪৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
এ নিয়ে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধের পর থেকে গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৩,১১৯ জনে। এছাড়া আহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২০ হাজারে।
আপনার মতামত লিখুন :