ভারতকে আবারও একটি পূর্ণাঙ্গ ও গঠনমূলক সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ। তিনি বলেছেন, পাকিস্তান হচ্ছে সন্ত্রাসবাদের সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী। এতে আমরা ৯০ হাজার প্রাণ হারিয়েছি এবং ১৫০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে।
শুক্রবার (১৬ মে) ইউম-এ-তাশাক্কুর উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভাষণ প্রদানকালে এ কথা বলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে সরকারি ও সামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন অঙ্গনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
শাহবাজ শরিফ বলেন, ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে পাকিস্তান যে অগাধ ত্যাগ স্বীকার করেছে, তা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃতি পাওয়া উচিত।’
পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পাকিস্তানের এই প্রচেষ্টা কেবল নিজের সীমান্তের ভেতরে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য ছিল না, বরং গোটা বিশ্বের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যেও পরিচালিত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘যদি আমাদের সাহসী সশস্ত্র বাহিনী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াই না করত, তাহলে তারা আজ বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ত।’
তিনি আরও বলেন, ‘পাকিস্তান যে কষ্ট, আত্মত্যাগ ও ক্ষতির মধ্য দিয়ে গিয়েছে, তা বিশ্বের স্বীকৃতি পাওয়া উচিত। বিশ্বকে আমাদের সংগ্রাম ও অবদানের মূল্যায়ন করতে হবে।’
এদিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ জানিয়েছেন, ভারতের আরও একটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান বিমান বাহিনী। নতুন করে ভূপাতিত হওয়া যুদ্ধবিমানটি ভারতের মিরাজ-২০০০, যা গত ৬-৭ মে রাতে কাশ্মীরের পামপুর এলাকায় গুলি করে নামানো হয়।
এ যুদ্ধবিমান ধ্বংসের পর পাকিস্তানের দাবি অনুযায়ী, মোট ৬টি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হলো চলমান উত্তেজনার মধ্যে। কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার পর ভারত পাকিস্তানে বিমান হামলা চালায়। এরপর দুই দেশের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা চলতে থাকে, যা ১০ মে যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে থামে।