হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার মধ্যে একটি বৈঠকে অনুষ্ঠিত হয়েছে। হাসিমুখে শুরু হলেও অল্প সময়ের মধ্যে বৈঠকটি উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে।
বৃহস্পতিবারের (২২ মে) এ বৈঠকে দক্ষিণ আফ্রিকায় শ্বেতাঙ্গদের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ তুলেন ট্রাম্প। অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়ে এক ফাঁকে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বিমান উপহারের কথা বলে হাস্যরসাত্মক মুহূর্তের অবতারণা করেন রামাফোসা।
এএফপি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈঠকের একপর্যায়ে ট্রাম্পের দিকে তাকিয়ে রামাফোসা হেসে বলেন, ‘দুঃখিত, আপনাকে উপহার দেওয়ার মতো আমার কাছে কোনো বিমান নেই।’ জবাবে ট্রাম্প রসিকতা করে বলেন, ‘ইচ্ছা করলেই নিতে পারতাম। যদি আপনার দেশ যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীকে একটি প্লেন দিত, আমি সেটা নিয়ে নিতাম।’
সম্প্রতি কাতারের কাছ থেকে একটি বিলাসবহুল বিমান উপহার পাওয়া ইস্যুতে কিছুদিন ধরে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
কাতারের রাজ পরিবারের কাছ থেকে বিমান উপহারের ট্রাম্পের দাবিকে মিথ্যা বলে আখ্যায়িত করেছে সংশ্লিষ্ট ৪টি সূত্র। এমন খবরও প্রচারিত হয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে। চলমান বিতর্কের মধ্যে কাতারের কাছ থেকে বিমানটি উপহার হিসেবে পাবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।
পেন্টাগন নিশ্চিত করে জানায়, মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ ৪০ কোটি মার্কিন ডলারের বোয়িং ৭৪৭ বিমানটি আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করেছেন এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ব্যবহারের জন্য এটিকে নিরাপদ করতে কাজ চলছে।
পেন্টগনের মুখপাত্র সিন পার্নেল দাবি করেন, মার্কিন ফেডারেলের নিয়মনীতি মেনেই এই উপহার গ্রহণ করা হয়েছে।
তবে বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক। ডেমোক্র্যাটদের পাশাপাশি অনেক রিপাবলিকানও এই উপহার গ্রহণের বিরোধিতা করছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি স্বার্থের সংঘাত এবং কাতারের সঙ্গে মার্কিন অস্ত্রচুক্তির ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
একজন সাংবাদিক এ নিয়ে প্রশ্ন করলে ট্রাম্প ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, তুমি একজন বোকা। তুমি কী ধরনের সাংবাদিক! তোমার সাংবাদিক হওয়ার যোগ্যতা নেই, তুমি যথেষ্ট বুদ্ধিমান না।
আপনার মতামত লিখুন :