হুতির ভয়ে স্ত্রীসহ পালিয়েছেন ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হার্জোগ। ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালে আতঙ্কে স্টেডিয়াম ত্যাগ করেন তারা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ইয়েদিয়োথ আহরোনোথ।
সংবাদমাধ্যমটি জানায়, বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বেইতার জেরুজালেম ও হাপোয়েল বেয়ারশেবারের মধ্যে একটি ফুটবল ম্যাচ চলাকালে ইয়েমেন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় সাইরেন বেজে উঠলে ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগ ও তার স্ত্রী স্টেডিয়াম থেকে পালিয়ে যান।
হামলার কারণে দেশটির ফুটবল প্রতিযোগিতা ‘ইসরায়েল কাপ’ ম্যাচটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এদিকে, হুতি নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ আন্দোলনের মহাসচিব আব্দুল মালিক বদরুদ্দিন আল হুতি বলেছেন, ইহুদিবাদী ইসরায়েল ৬০০ দিনেরও বেশি সময় ধরে গাজা উপত্যকায় গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। গাজার সমর্থনে আমাদের পরের ধাপের অভিযান আরও কার্যকর হবে।
আনসারুল্লাহ মহাসচিব আরও বলেছেন, ইহুদিবাদী ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া যত কঠোরই হোক না কেন, প্রিয় ফিলিস্তিনি জনগণের সমর্থনে ইয়েমেনি জনগণের অবস্থানে কোনো পরিবর্তন আসবে না।
গাজার সমর্থনে অভিযান ব্যাখ্যা করে আনসারুল্লাহ নেতা বলেন, এ সপ্তাহে আমরা দখলদার ইসরায়েলের গভীরে ১৪টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে অভিযান চালিয়েছি। এগুলোর মাধ্যমে ইসরায়েলের জাফা, হাইফা, আশকেলন এবং উম্মে আল-রাশাশে ইসরায়েলি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করা হয়েছে। লোহিত সাগর ইসরায়েলি বাহিনীর জন্য সাহায্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, সেখানে ইসরায়েলি শত্রুদের জন্য নৌযান চলাচল নিষিদ্ধ রয়েছে।
এদিকে সফলভাবে ইসরায়েলের বেন-গুরিয়ন বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মন্তব্য করেছে সইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি। এ হামলার পর বেন-গুরিয়ন বিমানবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায় এবং লাখ লাখ ইহুদি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়।
সামরিক অভিযান অব্যাহত থাকার কথা বলে বেন-গুরিয়ন বিমানবন্দর অনিরাপদ জানায় ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ আন্দোলনের উপ-তথ্য কর্মকর্তা নাসরুদ্দিন আমের।
নাসরুদ্দিন আমেরের মতে, গাজায় হামলা বন্ধ ও অবরোধ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত সব বিদেশি বিমান সংস্থাগুলোর উচিত তাদের নিজেদের ও যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য বেন-গুরিয়ন বিমানবন্দর এড়িয়ে চলা।
আপনার মতামত লিখুন :