শনিবার, ০৭ জুন, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ৫, ২০২৫, ০৮:৫৯ পিএম

মরক্কোয় কোরবানিতে নিষেধাজ্ঞা

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ৫, ২০২৫, ০৮:৫৯ পিএম

এক দশকে ৪০% কমেছে ভেড়ার পাল। ছবি - সংগৃহীত

এক দশকে ৪০% কমেছে ভেড়ার পাল। ছবি - সংগৃহীত

পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে মরক্কোয় পশু কোরবানির ওপর জারি হয়েছে রাজকীয় নিষেধাজ্ঞা। দেশটির রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মদ এ বছরের ঈদে কোরবানি না দিতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

ইসলাম ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী আহমেদ তৌফিক ৪ জুন রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারে রাজকীয় ডিক্রিটি পড়ে শোনান। এতে বলা হয়, ‘আমরা এক ব্যতিক্রমী পরিস্থিতির মুখোমুখি, যা আমাদের কিছু ঐতিহ্যবাহী রীতি সাময়িকভাবে স্থগিত করতে বাধ্য করছে, যার মধ্যে কোরবানি প্রথাও রয়েছে।’

সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কয়েক বছর ধরে মরক্কো চরম খরায় আক্রান্ত। প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং পশুখাদ্যের ঘাটতিতে দেশজুড়ে পশুর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে কমে গেছে।

এমন পরিস্থিতিতে দেশের কৃষি খাত ও পশুসম্পদ রক্ষায় কোরবানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। যাতে কেউ সরকারি এই নির্দেশনা উপেক্ষা করতে না পারে, সেজন্য বাড়ানো হয়েছে নজরদারি।

বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং পশুবাহী যানবাহন নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে। আদেশ অমান্য করলে জড়িতদের বিরুদ্ধে জরিমানা, এমনকি কোরবানির পশু জব্দ করারও ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে।

তবে এই নির্দেশনায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন দেশের কৃষকেরা। মরক্কোর একটি কৃষি সংগঠনের প্রধান আব্দেল ফাত্তাহ আম্মার এক বক্তব্যে জানান, ‘এই সিদ্ধান্ত আমাদের জন্য কঠিন। খরায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা ঈদকে কেন্দ্র করে পশু বিক্রির প্রস্তুতি নিয়েছিল। এখন তারা আরও ক্ষতির মুখে পড়বেন।’ তিনি সরকারের প্রতি কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আহ্বান জানান।

এদিকে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভেড়া জব্দ করছে। যদিও ভিডিওটির সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যায়নি, তবে তা জনমনে তীব্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছে। অনেকে বলছেন, তারা ধর্মীয় রীতি অনুসারে কোরবানি দিতেই চান।

এ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ালেও মরক্কো সেন্টার ফর লিগ্যাল অ্যাওয়ারনেস-এর প্রধান আইনজীবী চোআইব লামসাহাল স্পষ্ট করেন, ‘এটি একটি আহ্বান।  আইনগতভাবে এটি বাধ্যতামূলক কোনো নিষেধাজ্ঞা নয়।’

তার ভাষ্য, রাষ্ট্রীয় কোনো নির্দেশনা তখনই আইনের বলপ্রাপ্ত হয়, যখন সেটি স্পষ্ট আইনি বিধান দ্বারা সমর্থিত থাকে।

তবে পরিস্থিতি দিন যত গড়াচ্ছে, মরক্কোর জনগণের মধ্যে দ্বন্দ্ব ততই বাড়ছে। রাজকীয় আহ্বান, নাকি বাস্তবে কার্যকর নিষেধাজ্ঞা? কোরবানিকে ঘিরে এই দ্বিধা ঈদের উৎসবকে ঘিরে এক ধরনের অনিশ্চয়তার আবহ তৈরি করেছে গোটা দেশে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!