রবিবার, ০৮ জুন, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ৮, ২০২৫, ০৩:০১ পিএম

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগ ইলন মাস্কের 

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ৮, ২০২৫, ০৩:০১ পিএম

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইলন মাস্ক। ছবি- সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইলন মাস্ক। ছবি- সংগৃহীত

পর্ন তারকা জেফ্রি এপস্টিনের যৌন কেলেঙ্কারির নথিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম রয়েছে এমন দাবি করে নিজের এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন টেসলা ও স্পেসএক্সের মালিক ইলন মাস্ক। 

তবে তীব্র বিতর্কের মুখে মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই সেই পোস্ট মুছে দিয়েছেন মাস্ক। তার এই পোস্ট সরিয়ে নেওয়াকে কেন্দ্র করে আবারও নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়েছে, যা ওয়াশিংটন টাইমস-এর এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

বৃহস্পতিবার (৫ জুন) মাস্ক তার পোস্টে দাবি করেছিলেন, এপস্টিন সংক্রান্ত যেসব গোপন নথি রয়েছে, তাতে ট্রাম্পের নামও অন্তর্ভুক্ত। তার মতে, এই কারণেই পুরো ফাইলটি এখনো প্রকাশ্যে আনা হয়নি। 

মাস্ক লিখেছিলেন, ‘এই তথ্য ভবিষ্যতের জন্য মনে রাখুন। সত্যি একদিন না একদিন প্রকাশ পাবেই। পোস্টটিতে ইঙ্গিতপূর্ণ সুর এবং কিছু অংশে স্পষ্ট হুমকিও ছিল বলে প্রতীয়মান হয়।’

গতকাল (শনিবার) দুপুরে সেই পোস্টটি সরিয়ে দেন মাস্ক। তবে কেন তিনি পোস্টটি মুছে ফেললেন সে বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা দেননি।

এপস্টিনের সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই নানা গুঞ্জন রয়েছে। ভার্জিনিয়া জিফরে নামের এক নারীর করা মামলায় প্রকাশিত নথিতে এপস্টিনের ঘনিষ্ঠ অনেকের নাম উঠে আসে, যাদের মধ্যে বিল ক্লিন্টন, স্টিফেন হকিং, মাইকেল জ্যাকসন-এর মতো বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও রয়েছেন। 

অভিযোগ রয়েছে যে, এরা সবাই কোনো না কোনোভাবে এপস্টিনের যৌন অপরাধে যুক্ত ছিলেন বা তার সহযোগিতায় লাভবান হয়েছেন।

জানা গেছে, এপস্টিনের ব্যক্তিগত বিমান ‘লোলিটা এক্সপ্রেস’-এ চড়ে ট্রাম্প একাধিকবার বিদেশ সফর করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। চলতি বছরের শুরুতে এই সংক্রান্ত নথির একটি অংশ জনসমক্ষে এলেও মাস্ক দাবি করেছিলেন, পুরো ফাইলটাই সামনে আসা উচিত।

এতদিন পর্যন্ত ট্রাম্প ও মাস্কের সম্পর্ককে ঘনিষ্ঠ বলেই মনে করা হতো। কিন্তু গত সপ্তাহে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মাস্ক বলেছিলেন, ‘ট্রাম্পকে ইমপিচ করে তার জায়গায় ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সকে বসানো উচিত।’

এর প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘আমি ইলনের ব্যাপারে হতাশ। এখন আর বুঝতে পারছি না, আমাদের সম্পর্ক আগের মতো থাকবে কি না।’

এদিকে, সব মিলিয়ে একের পর এক মন্তব্যে স্পষ্ট হয়ে উঠছে যে ট্রাম্প ও মাস্কের সম্পর্ক ক্রমেই অবনতির দিকে।

তবে বিতর্কিত পোস্ট মুছে দেওয়ার মাধ্যমে ইলন মাস্ক কি সম্পর্কের জট খুলতে চাইছেন, নাকি কৌশলগতভাবে পিছু হটছেন তা নিয়ে নানা মত ঘুরছে ওয়াশিংটনের রাজনীতিতে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!