ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে ‘ডজন ডজন’ হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এদিকে তেহরানের পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার আশঙ্কায় ইসরায়েল দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।
এই হামলার ঘটনায় স্বভাবতই সন্দেহের তীর যুক্তরাষ্ট্রের দিকে। মনে করা হচ্ছে, শনিবার (১৩ জুন) রাত তিনটায় তেহরানে ইসরায়েলি হামলা সম্পর্কে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অবগত ছিলেন এবং তিনিই হয়তো নির্দেশনা দিয়েছেন।
গত ২৪ ঘন্টা আগে ওয়াশিংটন ঘোষণা করেছিল যে, তারা বাগদাদের দূতাবাস থেকে অপ্রয়োজনীয় মার্কিন কর্মীদের সরিয়ে নেওয়া শুরু করবে, এবং সুপারিশ করেছিল যে অঞ্চলের আশেপাশের দূতাবাসের অন্যান্য কর্মীরাও যদি চান তবে চলে যেতে পারেন।
মার্কিন কর্মকর্তা সরানোর তৎপরতাও যেকোনো ধরণের আক্রমণ চালানোর পূর্ব-প্রস্তুতি হতে পারে বলে জানিয়েছে কাতার-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
ডোনাল্ড ট্রাম্প গত কয়েক ঘণ্টায় তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে একটি পোস্ট দিয়ে বলেছেন, তিনি তার পুরো সরকারকে ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সমাধানের দিকে এগিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
মূলত ইসরায়েল ও ট্রাম্প চায় না ইরান পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করুক। কিন্তু তিনি আশা করেছিলেন এ বিষয়ে আলোচনা হবে।
তেহরানে হামলার কথা স্বীকার করেছে ইসরায়েল। এ থেকে বোঝা যাচ্ছে হামলার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র জড়িত নয়, তবে ওয়াশিংটন কী ঘটতে পারে সে সম্পর্কে অবহিত ছিল। কারণ মার্কিন গোয়েন্দারা আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিল যে, ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো লক্ষ্যবস্তু করে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। একইসঙ্গে মার্কিন কর্মকর্তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছিলেন, ইসরায়েল আগামী দিনে আক্রমণ করতে পারে।
হোয়াইট হাউসে কংগ্রেসনাল বৈঠকের মাধ্যমে ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলিরা ঠিক কী করতে চলেছে তা অবহিত থাকতেন।
তবে দেখার বিষয় হলো, ইরানের যেকোনো প্রতিক্রিয়ার পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে গ্রহণ করবে এবং প্রতিক্রিয়া জানাবে।
আপনার মতামত লিখুন :