ইরানে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৭০ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ইরানের ৬ জন পরমাণু বিজ্ঞানী ও শীর্ষ পর্যায়ের সামরিক কর্মকর্তারা। আহত হয়েছেন ৩২০ জনের বেশি।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোররাতে ইরানের বিভিন্ন স্থাপনায় ইসরায়েল পরিচালিত ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’-এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
ফার্স নিউজ এজেন্সির বরাতে আল জাজিরা জানিয়েছে, ইসরাইলের যুদ্ধবিমানগুলো তেহরান, ইস্পাহান, নাতানজসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়। নাতানজ শহরের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রে বড় বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। এটি ইরানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনার একটি।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, ২০০টির বেশি যুদ্ধবিমান ও ৩৩০টিরও বেশি মারণাস্ত্র ব্যবহার করে ১০০টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়। ইরানের পারমাণবিক ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিকে ধ্বংস করাই এই অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু।
নিহত পরমাণু বিজ্ঞানীদের মধ্যে রয়েছেন- সাবেক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান ড. ফেরেয়দুন আব্বাসি, ইসলামিক আজাদ ইউনিভার্সিটির প্রেসিডেন্ট ড. মোহাম্মদ মাহদি তেহরানচি, আব্দোলহামিদ মিনৌচেহর, আহমাদ রেজা জোলফাঘারি, আমিরহোসেইন ফেকহি। এ ছাড়া অজ্ঞাত একজন বিজ্ঞানী রয়েছেন, যার পদবি শুধু ‘মোতাল্লেবিজাদেহ’ হিসেবে প্রকাশ করা হয়েছে।
তারা সবাই তেহরানের শহীদ বেহেশতি ইউনিভার্সিটির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং পারমাণবিক কর্মসূচিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতেন।
হামলায় নিহত ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন- সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি, ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের প্রধান জেনারেল হোসেইন সালামি, খাতাম আল-আনবিয়া সেন্ট্রাল হেডকোয়ার্টার কমান্ডার জেনারেল ঘোলামালি রশীদ।
এই হামলার জবাবে ইরান ১০০টিরও বেশি ড্রোন ইসরায়েলের দিকে নিক্ষেপ করেছে বলে জানিয়েছে তেহরান। তবে ইসরায়েলের দাবি, সব ড্রোনই ভূপাতিত করা হয়েছে এবং কোনো উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
ইসরায়েলের হোম ফ্রন্ট কমান্ড আশ্রয়কেন্দ্র ব্যবহারের প্রয়োজন নেই বলে জানালেও সতর্কতা বজায় রাখতে দেশবাসীকে নির্দেশ দিয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :