ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলার পরপরই ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি রাজধানী তেহরানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় লাভিজান এলাকায় অবস্থিত একটি ভূগর্ভস্থ সুরক্ষিত বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছেন। ইরান ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত শুক্রবার ভোরে ইসরায়েলি হামলা শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
রোববার (১৫ জুন) রাতে, ইরানের অভ্যন্তরীণ দুটি তথ্যপ্রযুক্তি সূত্রের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি এ তথ্য জানায়। খামেনির পরিবারের সদস্যরাও তার সঙ্গে আছেন, যার মধ্যে রয়েছেন তার ছেলে মোজতবা খামেনি।
সূত্রগুলো জানায়, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানের পূর্ববর্তী দুই প্রতিরোধমূলক অভিযান-‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ ১’ ও ‘ট্রু প্রমিজ ২’-এর সময়ও খামেনির পরিবারকে বাঙ্কারে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। সেই সময় মোজতবা খামেনি তার পাশে থাকলেও, দুই ছেলে মাসুদ ও মোস্তফা ছিলেন না।
২০২৪ সালের ১৩ এপ্রিল চালানো প্রথম অপারেশন ‘ট্রু প্রমিজ ১’-এ ইরান সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে দুই জেনারেল হত্যার জবাবে ইসরায়েলের সামরিক স্থাপনায় ৩০০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায়। এরপর ১ অক্টোবর, ‘ট্রু প্রমিজ ২’-এর আওতায় হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহসহ ইরান-ঘনিষ্ঠ নেতাদের হত্যার জবাবে ২০০টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান।
ইসরায়েল এবার প্রথমবারের মতো ইহুদি রাষ্ট্র থেকে ২,৩০০ কিলোমিটার দূরে ইরানের মাশহাদ শহরে হামলা চালায়। মধ্যপ্রাচ্যের একটি কূটনৈতিক সূত্র ইরান ইন্টারন্যাশনালকে জানিয়েছে, এই হামলা ছিল খামেনির প্রতি একটি সরাসরি সতর্কবার্তা- তিনি ইরানের কোথাও নিরাপদ নন।
সূত্রটি আরও জানায়, “চাইলেই অভিযানের প্রথম রাতেই ইসরায়েল খামেনিকে হত্যা করতে পারত। তবে তাকে জীবিত রেখে ইসরায়েল এখন ইসলামিক প্রজাতন্ত্রকে তার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি পুরোপুরি পরিত্যাগের জন্য চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় দিচ্ছে।”
আপনার মতামত লিখুন :