ঢাকা মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০২৫

অপারেশন ‘রাইজিং লায়ন’ শব্দ কোথা থেকে এসেছে, জানেন কী?

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ১৬, ২০২৫, ০৮:০০ পিএম
ছবি- সংগৃহীত

‘রাইজিং লায়ন’ শব্দটি ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক সামরিক অভিযানের নাম হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। যা বাইবেলের একটি বাণী থেকে অনুপ্রাণিত। এই নামটি বাইবেলের সংখ্যা ২৩:২৪ থেকে নেওয়া হয়েছে। যেখানে বর্ণিত হয়েছে- ‘তোমরা উঠবে একটি সিংহের মতো, যেন এটি একটি যুবক সিংহ’, সে শুয়ে পড়বে না- যতক্ষণ না সে শিকার খায় এবং নিহতদের রক্ত পান করে।’

বাইবেলীয় এই ভবিষ্যদ্বাণী অনুসারে, ইসরায়েল তাদের অভিযানকে এক ধরনের ধর্মীয় দায়বদ্ধতা এবং আত্মরক্ষার প্রতীক হিসেবে তুলে ধরেছে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এই বাণীটি নিজ হাতে লিখে জেরুজালেমের পশ্চিম প্রাচীরে হাত রেখে প্রার্থনা করে ছিলেন, এর দ্বারা ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে সামরিক অভিযানটি পরিকল্পিত ছিল। এই পদক্ষেপটি ইসরায়েলের শক্তি ও ঈশ্বরের আশীর্বাদ পাওয়ার প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছে।

এই অভিযানকে সামগ্রিকভাবে বলা যায়, ‘রাইজিং লায়ন’ শব্দটি ইসরায়েলের সামরিক শক্তি ও ধর্মীয় ঐতিহ্যের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।

অপারেশন রাইজিং লায়ন’ কী ?

ইসরায়েল-ইরানের সামরিক অভিযান শুরু করেছে। তেহরানের পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষ্য করে গত শুক্রবার (১৩ জুন) চালানো হামলার নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’। এর লক্ষ্য ছিল তেহরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ‘হৃদয়’-এ আঘাত হানা। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত এই অভিযানের লক্ষ্য ছিল ইসরায়েলের অস্তিত্বের জন্য ইরানি হুমকিকে প্রতিহত করা।

এই অভিযানের ঘোষণার পর নেতানিয়াহু বলেন, অভিযানের লক্ষ্য ছিল ইরানের পারমাণবিক অবকাঠামো, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কারখানা এবং সামরিক সক্ষমতায় আঘাত করা।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য এই হুমকিগুলো রেখে যেতে পারি না। কারণ আমরা যদি এখনই পদক্ষেপ না নিই, তাহলে আর কোন প্রজন্ম থাকবে না। যদি এখনই পদক্ষেপ না নিই, তাহলে আমরা এখানে থাকব না।’

নেতানিয়াহু ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ সম্পর্কে ঘোষণা দেওয়ার সময় বলেন, ইরান ছয় বছরের মধ্যে ২০ হাজারটি এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির পরিকল্পনা করেছিল, তাই ইসরায়েল সেগুলো অপসারণের জন্য অভিযান চালাচ্ছে। ’

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মতে, এটি ছিল প্রথম পর্যায়ের হামলা। প্রাথমিক হামলায় ইরানের বিভিন্ন এলাকায় পারমাণবিক লক্ষ্যবস্তু সহ কয়েক ডজন সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ অন্তর্ভুক্ত ছিল।

এদিকে, জাতিসংঘে ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত ড্যানি ড্যানন বলেছেন, ইসরাইল ইরানের পারমাণবিক এবং ক্ষেপণাস্ত্র অবকাঠামোর বিরুদ্ধে অপারেশন ‘রাইজিং লায়ন’ শুরু করেছে, যার লক্ষ্য ইসরায়েল এবং সমগ্র বিশ্বের নাগরিকদের জন্য একটি অস্তিত্বগত এবং তাৎক্ষণিক হুমকি দূর করা।