মধ্যপ্রাচ্যে চলমান ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে উত্তেজনা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। চার দিনের সংঘর্ষের পর, ইরান যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে এবং ইসরায়েলকে রাজি করাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যদি সত্যিকারের কূটনীতিতে আগ্রহী হন, তাহলে ইসরায়েলকে আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওয়াশিংটন থেকে একটি ফোন কল নেতানিয়াহুকে থামাতে পারে, যা কূটনীতিতে ফেরার পথ উন্মুক্ত করতে পারে।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘ইরান যুদ্ধবিরতি চায়। আমি আশা করি ইরান আলোচনায় রাজি হবে, কারণ সেটা তাদের জন্য ভালো হবে।’
ইরানকে সতর্ক করে তিনি বলেন, ‘ইরান যদি বিকল্প কিছুভাবে, তবে অবশ্যই আমরাও পদক্ষেপ নিবো। কখনোই তাদের পারমাণবিক অস্ত্র রাখতে দিতে পারি না।’
এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘আমরা ইরানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয়ের পথে রয়েছি।’
তিনি আরও দাবি করে বলেন, ‘ইসরায়েল ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন সিস্টেম বিকল করে দিয়েছে।’
যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়া জানিয়েছে, তারা ইরানের পরমাণু কর্মসূচির পরিস্থিতি সমাধানে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করছে। তবে, ইরান সরাসরি আলোচনায় রাজি না হলেও, পরোক্ষ কূটনীতির মাধ্যমে আলোচনা চালানোর জন্য প্রস্তুত বলে জানিয়েছে।
এদিকে, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির প্রধান প্রকৌশলী আলী শামখানি ইসরায়েলি হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার বাম পা কেটে ফেলা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :