সম্প্রতি ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অধিকৃত ফিলিস্তিনের মধ্যাঞ্চল রেহোভোটে অবস্থিত ‘ওয়াইজম্যান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্সে’-এ ভয়াবহ ক্ষতি হয়েছে। ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম হারেৎজ জানিয়েছে, ইনস্টিটিউটের একাধিক ভবন সরাসরি আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। এর মধ্যে একটি গবেষণাগার পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়ের ওই গবেষণাগারটিতে জীবন বিজ্ঞান, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, এবং আণবিক জীববিজ্ঞানের ওপর উন্নত গবেষণা চালায়। এছাড়াও এই গবেষণাগার ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর নজরদারি, অস্ত্র উন্নয়ন এবং লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা হিসেবে কাজ করে থাকে।
বিশেষজ্ঞরা বলছে, ইসরায়েল ওই গবেষণাগারের প্রযুক্তি দিয়ে- গাজা, লেবানন, ইয়েমেন ও ইরানে বেসামরিকদের ওপর পরিচালিত হামলার কৌশল আঁটে।
ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলোর মতে, ওয়াইজম্যান ইনস্টিটিউটকে ‘ইসরায়েলের বৈজ্ঞানিক ও সামরিক মস্তিষ্ক’ হিসেবে অভিহিত করে। ইনস্টিটিউটটি ড্রোন যুদ্ধ, যুদ্ধক্ষেত্রের মেডিকেল প্রযুক্তি, এবং বিমান হামলার সমন্বয় ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করত।
ইসরায়েলি মিডিয়ায় প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, ধ্বংসপ্রাপ্ত ল্যাব পুরোপুরি পুড়ে যাওয়ার অংশ, ধসে পড়া মেঝে এবং বিপর্যস্ত বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা।
এদিকে ইরানের এই হামরাকে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা ছোট করে দেখানোর চেষ্টা করছেন।
দ্য মার্কার স্বীকার করে জানিয়েছে- ইরানের এটি ছিল একটি পূর্ব পরিকল্পিত হামলা, যেটি সামরিক গবেষণায় ব্যবহৃত বৈজ্ঞানিক স্থাপনাগুলোর ধ্বংস করা।
এ হামরা নিয়ে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই হামলাটি ইরানের পরমাণু বিজ্ঞানীদের হত্যার একটি সরাসরি প্রতিশোধ। ওয়াইজম্যান ইনস্টিটিউটের সঙ্গে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এটিকে ইরানের চোখে একটি বৈধ সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে।