যুক্তরাষ্ট্র ইরানে হামলার পরিকল্পনা বাতিল করলে ইরান কূটনৈতিক আলোচনায় বসতে রাজি। এমনটি জানিয়েছেন দেশটির উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী মাজিদ তাখত-রাভানছি। খবর বিবিসি।
বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মাজিদ তাখত-রাভানছি বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন পুনরায় আলোচনার টেবিলে ফিরতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তবে আলোচনা চলাকালীন যুক্তরাষ্ট্র হামলা করবে কি না তার কোনো নিশ্চয়তা দেয়নি।
ওমানে যুক্তরাষ্ট্র-ইরান ষষ্ঠ দফা আলোচনার পূর্বেই ইরানে হামলা করে ইসরায়েল।ইসরায়েল-ইরান সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র পরে নিজেই সরাসরি জড়িয়ে পড়ে এবং ইরানের কয়েকটি পরমাণু স্থাপনায় বোমা হামলা করে মার্কিন বোমারু বিমান।
ইরান পরমাণু বোমা তৈরির অভিযোগ অস্বীকার করে তাখত-রাভানছি বলছেন, ইরান শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের জন্য ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণে সক্ষম।
তিনি বলেন, গবেষণা কর্মসূচির জন্য ইউরেনিয়াম সামগ্রীতে প্রবেশাধিকার পায়নি বলেই ইরানকে নিজের সক্ষমতার ওপর নির্ভর করতে হয়েছে। কোন মাত্রায় থাকবে বা কতটা সক্ষমতা থাকবে তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। কিন্তু তোমার সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি থাকবে না, শূন্য মাত্রায় থাকবে এবং তুমি একমত না হলে তোমার ওপর বোমা মারব- এগুলো আইন লঙ্ঘনের শামিল।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের পরমাণু স্থাপনা পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে বললেও আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা বা আইএইএ’র প্রধান রাফায়েল গ্রসি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় মারাত্মক ক্ষতি হলেও পুরোপুরি ধ্বংস হয়নি।
গ্রসি বলেছেন, ইরান কয়েক মাসের মধ্যেই ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ শুরু করতে পারবে। কিন্তু ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাখত-রাভানছি বলেছেন, এ বিষয়ে তার জানা নেই।
গত বুধবার ইরানের পার্লামেন্ট আইএইএ'র সাথে সহযোগিতা স্থগিত করার প্রস্তাব পাস করেছে। তাদের অভিযোগ, সংস্থাটি ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র ঘেঁষা।
ট্রাম্প বলেছেন, ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ উদ্বেগজনক মাত্রায় পৌঁছেছে এমন তথ্য গোয়েন্দারা পেলে তিনি ইরানের ওপর বোমা হামলার বিষয়টি বিবেচনা করবেন।
ওদিকে, ট্রাম্প চলতি সপ্তাহেই ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা বললেও, ইরানের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, আলোচনায় ফেরার কোনো তারিখ ঠিক হয়নি এবং এ আলোচনার এজেন্ডা কী হবে তাও তিনি জানেন না।
আপনার মতামত লিখুন :