তেহেরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ভয়ে যুদ্ধ বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে ইসরায়েল। যুদ্ধে দেশটির শহীদদের স্মরণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন ইরানের গোয়েন্দাবিষয়ক মন্ত্রী সাইয়্যেদ ইসমাইল খতিব। মেহের নিউজ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনে ইসমাইল খতিবের বরাতে বলা হয়, শত্রুরা যেসব বিদ্রোহের পরিকল্পনা করেছিল- অথবা যাকে তারা ইসলামী প্রজাতন্ত্রের সমাপ্তি বলে অভিহিত করেছিল- তা সত্ত্বেও তেহেরান ১২ দিনের যুদ্ধের সময় ইরান সম্পূর্ণরুপে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বজায় রেখেছে। এ সময় দেশটিতে ইসরায়েলি গোয়েন্দা অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার কথা জানান তিনি।
এ সময় ড্রোন এবং এমএভি ইস্যু সম্পর্কে খতিব বলেন, ‘এই বিষয়গুলো সামরিক অবস্থার সাথে সম্পর্কিত এবং বিমান প্রতিরক্ষা কৌশলের ওপর নির্ভর করে। দেশের সশস্ত্র বাহিনী এবং বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী তাদের মোকাবেলা করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবে।’
গত ১৩ জুন ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা শুরু করে ইসরাইল। ১২ দিনের এই আগ্রাসনে ইসরাইলকে সমর্থন জানিয়ে গত ২২ জুন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের নাতানজ, ফোরদো এবং ইসফাহানে তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় সামরিক আক্রমণ চালায়।
ইসরাইলি আগ্রাসনের পরপরই ইরানি সামরিক বাহিনী শক্তিশালী পাল্টা আক্রমণ চালায়। ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পস অ্যারোস্পেস ফোর্স অপারেশন ট্র প্রমিজ ৩-এর অংশ হিসেবে ইহুদিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে ২২টি প্রতিশোধমূলক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, যার ফলে অধিকৃত অঞ্চলের শহরগুলোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
এ ছাড়া মার্কিন হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরানি সশস্ত্র বাহিনী কাতারের আল-উদেইদ বিমান ঘাঁটিতে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, যা পশ্চিম এশিয়ার বৃহত্তম আমেরিকান সামরিক ঘাঁটি।
আপনার মতামত লিখুন :