ঢাকা শনিবার, ১৯ জুলাই, ২০২৫

যুদ্ধবিরতিতে সম্মত ইসরায়েল-সিরিয়া

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ১৯, ২০২৫, ১১:৩০ এএম
সিরিয়ার দামেস্কে ‘ইসরায়েলি’ হামলার একটি চিত্র। ছবি- সংগৃহীত

সিরিয়ায় চলমান সহিংসতার মধ্যে ইসরায়েল ও সিরিয়া এক চুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিরিয়াবিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত টম ব্যারাক। তবে চুক্তির বিস্তারিত কোনো তথ্য তিনি প্রকাশ করেননি। শনিবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ এক বিবৃতিতে তিনি এ তথ্য জানান। বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) শনিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

এই ঘোষণাটি আসে এমন এক সময়, যখন সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় সুইদা প্রদেশে দ্রুজ ও বেদুইন গোষ্ঠীর মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ আবারও সেখানে সেনা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন, যদিও এ সংঘাতে এরইমধ্যে হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে মানবিক সংকটে পড়েছে।

টম ব্যারাক বলেন, ‘ইসরায়েল-সিরিয়ার এই নতুন যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে তুরস্ক, জর্ডান ও অন্যান্য প্রতিবেশী রাষ্ট্র সমর্থন জানিয়েছে। আমরা দ্রুজ, বেদুইন ও সুন্নিদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি—তারা যেন সংঘাত থামিয়ে অন্যান্য সংখ্যালঘুর সঙ্গে মিলিত হয়ে শান্তিপূর্ণ এবং সমৃদ্ধ এক নতুন সিরীয় পরিচয় গড়ে তোলে।’

গত রোববার সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় সুইদা প্রদেশে দ্রুজ ও বেদুইন গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এর প্রেক্ষিতে ‘ইসরায়েল’ দ্রুজ সম্প্রদায়ের পক্ষে হস্তক্ষেপ করে। তারা সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর কনভয়ে একাধিক বিমান হামলা চালায় এবং দামেস্কে অবস্থিত প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রধান কার্যালয়েও আঘাত হানে।

বুধবার, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক ও আরব দেশগুলোর মধ্যস্থতায় সিরিয়া সরকার দ্রুজ গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছায় এবং প্রদেশটি থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করে। সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমাদ আল-শারা বৃহস্পতিবার জানান, ওই চুক্তির আওতায় সুইদা প্রদেশে নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব দ্রুজ গোষ্ঠী ও ধর্মীয় নেতাদের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এদিকে সিরিয়ার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সিরিয়ান সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, তাদের সুইদা শহরের প্রধান হামজা আল-আমারিন দুদিন আগে সশস্ত্র দুর্বৃত্তদের হাতে অপহৃত হয়েছেন।

শুক্রবার সংস্থাটির এক বিবৃতিতে বলা হয়, জাতিসংঘ দলের উদ্ধার অভিযানে অংশ নেওয়ার জন্য একটি ভ্যানে করে যাচ্ছিলেন আমারিন। তার গায়ে হোয়াইট হেলমেটসের লোগো ছিল। এরমধ্যে পথেই তাকে থামিয়ে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বৃহস্পতিবার আমারিনের ফোনে এক ব্যক্তি উত্তর দেন এবং জানান তিনি নিরাপদে আছেন। তবে এরপর থেকে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এদিকে, সুইদাসহ সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে চলমান সংঘাতের কারণে জাতিসংঘ প্রয়োজনীয় মানবিক ও চিকিৎসা সহায়তা পৌঁছে দিতে ব্যর্থ হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতি স্থানীয় বাসিন্দাদের মানবিক সংকটে ফেলছে।