ভারতের কেরালার আলাপ্পুঝা জেলার বাসিন্দা ও ট্রাভেল ভ্লগার শাফীক হাশিম নিজের টাক মাথাকে বিজ্ঞাপনের প্ল্যাটফর্মে রূপান্তর করে নজর কেড়েছেন সামাজিক মাধ্যমে।
সাহসিকতা ও সৃজনশীলতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে তিনি এক হেয়ার ও স্কিন ক্লিনিকের সঙ্গে তিন মাসের একটি বিজ্ঞাপন চুক্তি করেছেন, যার মাধ্যমে আয় করেছেন ৫০ হাজার রুপি।
চুক্তির অংশ হিসেবে শাফীক তার মাথায় অস্থায়ীভাবে ক্লিনিকটির লোগো ট্যাটু করিয়েছেন, যা তার পরবর্তী তিনটি ইউটিউব ভিডিওতে সুস্পষ্টভাবে দেখা যাবে।
শাফীক জানান, ভিডিওগুলো এমনভাবে ধারণ করা হবে যাতে তার মাথায় থাকা বিজ্ঞাপনটি দর্শকের দৃষ্টিগোচর হয়। ট্যাটুটি রাসায়নিকভাবে সহজেই মুছে ফেলা যায়।
একসময় চুল প্রতিস্থাপনের কথা ভাবলেও শাফীক পরে উপলব্ধি করেন যে টাক মাথা লজ্জার নয়; বরং এটিকে রূপান্তর করা যায় উৎপাদনশীল ও অর্থনৈতিক প্ল্যাটফর্মে। সেই ভাবনা থেকেই মাথায় বিজ্ঞাপন ধারণার জন্ম, যা তিনি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করলে তা দ্রুত ভাইরাল হয়। এরপর একাধিক ব্র্যান্ড ও সংবাদমাধ্যম তার উদ্যোগে আগ্রহ দেখায়।
শাফীক বলেন, ‘সম্ভবত আমি ভারতে, এমনকি বিশ্বেও প্রথম ব্যক্তি, যে নিজের টাক মাথাকে বিজ্ঞাপন ব্যবহারের জন্য ব্যবহার করছে। এটা শুধু ভাইরাল হওয়ার চেষ্টা নয়, বরং সৌন্দর্য ও শরীর নিয়ে সমাজের প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গিকে চ্যালেঞ্জ জানানোর একটি মাধ্যম।’
তিনি আরও বলেন, ‘কলেজজীবনে টাক মাথা নিয়ে হাস্যরসের শিকার হলেও এখন সেটিই হয়ে উঠেছে আত্মবিশ্বাসের প্রতীক এবং একটি ব্র্যান্ডিং প্ল্যাটফর্ম।’
ইনস্টাগ্রামে নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে আরও ব্র্যান্ড এই আইডিয়ায় আগ্রহী হবে।’
শাফীকের এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ শুধুই আয়ের পথ নয়, বরং সমাজে দেহ-সচেতনতা, আত্মবিশ্বাস এবং সৃজনশীলতার নতুন সংজ্ঞা তৈরি করছে। তিনি প্রমাণ করেছেন, সীমাবদ্ধতা নয়, নিজেকে গ্রহণ করাই সবচেয়ে বড় শক্তি।
আপনার মতামত লিখুন :