হংকং থেকে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির উদ্দেশে যাত্রা করা এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এআই-৩১৫ ফ্লাইটটি ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর বিমানটির অক্সিলিয়ারি পাওয়ার ইউনিটে (এপিইউ) আগুন ধরে যায় বলে এক বিবৃতিতে এয়ার ইন্ডিয়ার নিশ্চিত করে।
দেশটির এই বিমান সংস্থা বলেছে, যাত্রীরা বিমান থেকে নামার সময়ই আগুন ধরে যায়। তবে বিমানের সব আরোহী ও কেবিন ক্রু নিরাপদে বেরিয়ে আসেন। এই ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বিমানের ফায়ার সিস্টেমে আগুন শনাক্ত হওয়ার পরপর স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যায় এপিইউ। এয়ার ইন্ডিয়া বলেছে, অগ্নিকাণ্ডের এই ঘটনায় দুই ইঞ্জিনবিশিষ্ট এয়ারবাস এ৩২১ বিমানের ‘কিছু ক্ষতি’ হয়েছে। এই ঘটনা তদন্তে ইতোমধ্যে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে এমন এক সময়ে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল, যখন দেশটিতে এই বিমান সংস্থার বিমানের বেশ কিছু দুর্ঘটনা ঘিরে ব্যাপক সমালোচনা চলছে।
সোমবার (২১ জুলাই) দেশটির বেসামরিক বিমান পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী মুরলিধর মোহল সংসদে বলেন, গত ছয় মাসে পাঁচটি নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনায় এয়ার ইন্ডিয়া ৯টি নোটিশ পেয়েছে।
এদিকে, গত ৪৮ ঘণ্টায় এয়ার ইন্ডিয়ার বহরে থাকা বিমানে অন্তত তিনটি দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। সোমবার এয়ার ইন্ডিয়ার কোচি থেকে মুম্বাইগামী একটি ফ্লাইট অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে। এতে বিমানের কাঠামো ও রানওয়ের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
একই দিন দিল্লি থেকে কলকাতাগামী একটি ফ্লাইট উড্ডয়নের সময় ঘণ্টায় ১৫৫ কিলোমিটার গতিতে ছুটছিল। পরে শেষ মুহূর্তে ওই ফ্লাইটের উড্ডয়ন বাতিল করা হয়। প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে এয়ার ইন্ডিয়ার এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।