সোমবার, ০৪ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ৪, ২০২৫, ০২:৪৯ পিএম

নাসার আছে যুদ্ধবিমানও, মহাকাশের পাশাপাশি পৃথিবীতেও দাপট সংস্থাটির

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ৪, ২০২৫, ০২:৪৯ পিএম

নাসার বিমান। ছবি- সংগৃহীত

নাসার বিমান। ছবি- সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা হলো নাসা, যার পুরো নাম ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। এটি মহাকাশ গবেষণার পাশাপাশি বিমানচালনাবিদ্যা গবেষণা এবং মহাকাশ প্রযুক্তি উন্নয়নে কাজ করে, যা ১৯৫৮ সালের ২৯ জুলাই প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু আমরা যখন ‘নাসা’ নিয়ে ভাবি, তখন আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে রকেট আর মহাকাশ অভিযান। এটিই স্বাভাবিক, কারণ নাসার মহাকাশ-সংক্রান্ত অর্জনই সংবাদমাধ্যমে বেশি প্রকাশ পায়। তবে অনেকেই জানেন না, নাসার রকেট বা মহাকাশযানের পাশাপাশি নিজস্ব যুদ্ধবিমানের বহর রয়েছে।

দীর্ঘদিন ধরে নাসা সামরিক ধাঁচের বিমান- এফ-১৫ ইগল ও এফ/এ-১৮ হর্নেটের মতো যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে আসছে। ২০১৫ সালে নাসার প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, মাঝ আকাশে পাইলট এফ-১৫ডি ইগল যুদ্ধবিমানে কেসি-১৩৫ ট্যাংকার থেকে জ্বালানি ভরছেন। চ্যালেঞ্জিং এই কার্যক্রম কেবল পাইলটের দক্ষতাই নয়, বরং এই যুদ্ধবিমানগুলোর ক্ষমতা সম্পর্কেও একটি ধারণা দেয়।

নাসা এই যুদ্ধবিমানগুলোকে ডাকে ‘চেজ প্লেন’ নামে। এদের গতি অনেক বেশি। এগুলো তৈরি হয়েছে মার্কিন বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী ও মেরিন বাহিনীর জন্য যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে। তবে নাসা এই বিমানগুলোকে যুদ্ধের জন্য নয়, বরং তার মহাকাশযানের বিভিন্ন বিষয় পর্যবেক্ষণ ও তথ্য নথিভুক্তকরণের জন্য ব্যবহার করে।

নাসা সাধারণত পুরোনো যুদ্ধবিমানকেই পুনর্ব্যবহার করে। তাই এর বহরে সাম্প্রতিক সময়ের বহুল ব্যবহৃত নতুন ফাইটার জেট দেখা যায় না। সর্বশেষ ২০২১ সালে নাসা মার্কিন নৌবাহিনী থেকে একটি এফ/এ-১৮ সংগ্রহ করে। এটি এখন ব্যবহৃত হচ্ছে নাসার শব্দহীন সুপারসনিক এক্স-৫৯ বিমানের ফ্লাইট পর্যবেক্ষণ ও রেকর্ডিংয়ে।

নাসার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হলো ‘এয়ারবর্ন সায়েন্স প্রোগ্রাম’। এই প্রোগ্রামের আওতায় এয়ারক্রাফটে বিভিন্ন ধরনের বিশেষায়িত সেন্সর ও যন্ত্রপাতি যুক্ত করে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল ও পরিবেশ (যেমন—সমুদ্রের বরফস্তর ও হিমবাহ) নিয়ে গবেষণা চালানো হয়। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে পৃথিবীর আকাশ থেকে জলবায়ু পরিবর্তন, মৌসুমি বৈচিত্র্যসহ নানা তথ্য সংগ্রহ করা হয়।

এ ছাড়া, নাসা নিজেই পরীক্ষামূলক এয়ারক্রাফট তৈরি করে। যেগুলো মূলত নতুন ধারণা, স্বয়ংক্রিয় ক্ষেপণাস্ত্র বা উন্নত উড়োজাহাজ প্রযুক্তির পরীক্ষা চালানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। এসব প্রকল্প প্রমাণ করে, নাসা কেবল মহাকাশেই নয়, পৃথিবীতেও সমান সক্রিয়।

২০২৫ সালের জুলাই মাসেই নাসা দুটি বড় পরীক্ষামূলক প্রকল্প চালিয়েছে এর কিছু বিমান ব্যবহার করে। এর মধ্যে একটি পরীক্ষা ছিল—মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রযুক্তিকে ভবিষ্যতের বিমান চলাচল ব্যবস্থার সহায়ক হিসেবে ব্যবহার করা। আর অন্যটি ছিল—যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে গুরুত্বপূর্ণ খনিজের সম্ভাব্য উৎস অনুসন্ধান।

রূপালী বাংলাদেশ

Shera Lather
Link copied!