শনিবার, ০৯ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ৯, ২০২৫, ১০:১৮ এএম

ইসরায়েলি হামলায় নিহত ‘ফিলিস্তিনের পেলে’

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ৯, ২০২৫, ১০:১৮ এএম

ফিলিস্তিনি ফুটবলের কিংবদন্তি খেলোয়াড় সুলেমান আল-ওবাইদ (৪১)। ছবি- সংগৃহীত

ফিলিস্তিনি ফুটবলের কিংবদন্তি খেলোয়াড় সুলেমান আল-ওবাইদ (৪১)। ছবি- সংগৃহীত

গাজার দক্ষিণাঞ্চলে মানবিক সহায়তার অপেক্ষায় থাকা অবস্থায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন ফিলিস্তিনি ফুটবলের কিংবদন্তি খেলোয়াড় সুলেমান আল-ওবাইদ (৪১)। তাকে ‘ফিলিস্তিনি পেলে’ নামেও ডাকা হতো।

ফিলিস্তিনি ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (পিএফএ) তথ্যমতে, আল-ওবাইদ খাদ্য ও পানির সংকটের মধ্যে পরিবারকে সহায়তা করতে গিয়েছিলেন। সেখানে ইসরায়েলি বাহিনীর চালানো হামলায় তার মৃত্যু হয়।

জানা যায়, এই ফুটবলারের ঘরে স্ত্রী ও পাঁচ সন্তান রয়েছেন। 

১৯৮৪ সালের ২৪ মার্চ গাজায় জন্মগ্রহণকারী সুলেমান আল-ওবাইদ তার পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু করেন স্থানীয় ক্লাব খাদামাত আল-শাতির হয়ে। এরপর তিনি খেলেন পশ্চিম তীরের মারকাজ শাবাব আল-আমারি এবং গাজা স্পোর্টস ক্লাবের হয়ে।

২০০৭ সালে ফিলিস্তিনি জাতীয় দলে অভিষেক ঘটে তার। জাতীয় দলের হয়ে ২৪টি ম্যাচে অংশ নিয়ে তিনি ২টি গোল করেন, এর মধ্যে ২০১০ সালের পশ্চিম এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন চ্যাম্পিয়নশিপে ইয়েমেনের বিপক্ষে করা একটি কিক ছিল তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে স্মরণীয়।

দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ১০০টিরও বেশি গোল করেছেন তিনি এবং তার অসাধারণ দক্ষতা, সৃজনশীলতা ও নেতৃত্ব তাকে ‘ফিলিস্তিনি পেলে’ উপাধি এনে দেয়- ফুটবলের সর্বকালের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে বিবেচিত ব্রাজিলিয়ান গ্রেট পেলেকে সম্মান জানিয়ে এ নামে তাকে ডাকা হতো।

পিএফএ জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৬৬৩ জন ক্রীড়াবিদ এবং ক্রীড়া কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন, এদের মধ্যে ৩২২ জন পিএফএ-এর সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন খেলোয়াড়, কোচ, রেফারি, প্রশাসক ও ক্লাব কর্মকর্তারা।

গাজায় হামলায় কমপক্ষে ২৮৮টি ক্রীড়া অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বা ধ্বংস হয়েছে, এর মধ্যে ২৬৮টি গাজাতেই। ধ্বংস হয়েছে ফিলিস্তিনি ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের গাজা সদর দপ্তরও।

সুলেমান আল-ওবাইদের মৃত্যু ঘটে তার সতীর্থদের মৃত্যুর কয়েক দিনের ব্যবধানে। এর আগে, আল-তুফা স্পোর্টস ক্লাবের আরেক ফুটবলার মাহমুদ রাফেহ শাহীন নিহত হন সাহায্যের অপেক্ষায় থাকাকালে এবং তারও আগে নিহত হন খেলোয়াড় ইসমাইল আবু দান।

Shera Lather
Link copied!