অবশেষে বরফ গলতে শুরু করেছে মস্কো-ওয়াশিংটন সম্পর্কের। ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ১৫ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বৈঠকের আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূতের হাতে ‘অর্ডার অব লেনিন’ পুরস্কার তুলে দিয়েছেন, যা মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার কাছে পৌঁছে দিতে বলা হয়েছে।
ওই কর্মকর্তার ছেলে রাশিয়ার হয়ে ইউক্রেনে লড়াই করতে গিয়ে নিহত হয়েছেন। তাকেই মরণোত্তর ওই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে, যা সাধারণত অসাধারণ বেসামরিক কাজের জন্য দেওয়া হয়। এদিকে এ পুরস্কারটি কী করা হয়েছে, তা জানা যায়নি। হোয়াইট হাউস, সিআইএ বা উইটকফ কেউই এ ব্যাপারে স্পষ্ট কিছু জানায়নি।
পুরস্কার পাওয়া ২১ বছর বয়সি মাইকেল গ্লস গত বছর ইউক্রেনে নিহত হন। তিনি সিআইএর ডিজিটাল উদ্ভাবনবিষয়ক উপ-পরিচালক জুলিয়েন গ্যালিনার ছেলে। গ্লস ২০২৩ সালের শরৎকালে রুশ বাহিনীতে যোগ দেন। সে সময় ক্রেমলিন সম্ভবত তাঁর পারিবারিক পরিচয় সম্পর্কে জানতেন না।
গ্লসের বাবা ল্যারি গ্লস ইরাক যুদ্ধে লড়েছেন। গত এপ্রিলে ওয়াশিংটন পোস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, তাঁদের ছেলে জীবনের বেশির ভাগ সময় মানসিক অসুস্থতার সঙ্গে লড়াই করেছেন।
গত এপ্রিলে রাশিয়ার গণমাধ্যমগুলো গ্লসের মৃত্যুর খবর প্রথম প্রকাশ করে। ওই মাসের শেষ দিকে সিআইএ এক বিবৃতিতে বলেছে, গ্লস মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছিলেন। তাঁর মৃত্যুর সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তার সম্পর্ক নেই।
২০২৪ সালের নভেম্বরে গ্লসকে নিয়ে প্রকাশিত এক শোকলিপিতে বলা হয়, তিনি ওই বছরের ৪ এপ্রিল ‘ইস্টার্ন ইউরোপে নিহত’ হয়েছেন।
গত বছর গ্লস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মস্কোর রেড স্কয়ারে তোলা সেলফি শেয়ার করেছিলেন। তাঁর পোস্টে তিনি রাশিয়ার প্রতি সমর্থন জানান এবং ইউক্রেন যুদ্ধকে ‘ইউক্রেন প্রক্সি যুদ্ধ’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি এই সংঘাত নিয়ে সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনকে ‘পশ্চিমা প্রচারণা’ বলেন।