ঢাকা রবিবার, ১০ আগস্ট, ২০২৫

গাজায় অনাহারে মারা গেল ১০০ শিশু

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ১০, ২০২৫, ০৫:১৩ পিএম
গাজার ত্রাণকেন্দ্রে ক্ষুধার্ত মানুষের ভিড়। ছবি- সংগৃহীত

গাজা উপত্যকায় রোববার দিনের প্রথমার্ধে ‘ইসরায়েলি’ হামলায় অন্তত ২৭ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে অন্তত ২০ জন উপত্যকাটির বিভিন্ন এলাকায় ত্রাণসংগ্রহে গিয়ে ইসরায়েলি হামলার স্বীকার হয়েছেন। এ ছাড়া, অনাহারে ২ শিশুসহ অন্তত ৫ জন মারা গেছেন রোববার সকালে। এ নিয়ে গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে অনাহার অপুষ্টিতে ভুগে নিহতের সংখ্যা ২১৭ জনে দাঁড়িয়েছে, অনাহারে মৃত শিশুর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১০০ ।

ইউনিসেফের হালনাগাদ তথ্য বলছে, জুন মাসের চেয়ে জুলাই মাসে গাজায় অপুষ্টিতে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য ভর্তি শিশুর সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। জুনে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়েছিল ৬ হাজার ৩৪৪ জন। আর জুলাইয়ে ভর্তি হয়েছে ১১ হাজার ৮৭৭ জন। তাদের মধ্যে প্রায় আড়াই হাজার শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছিল।

এর আগে, শনিবার (৯ আগস্ট) ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় কমপক্ষে ৪৭ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ‘ইসরায়েল’। নিহতদের মধ্যে অন্তত ৪০ জন ক্ষুধার্ত ত্রাণপ্রত্যাশী মানুষ বলে জানায় সংবাদমাধ্যম ‘মিডল ইস্ট আই’। এ নিয়ে গত ২৭ মে থেকে গাজায় বিতর্কিত ত্রাণ সংস্থা ‘গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন’-এর উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরুর পর এ পর্যন্ত শুধু ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৭৫০ জনের অধিক , আহত ১২ হাজার ৬০০ জনের বেশি।  যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সহায়তায় গাজায় ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করে জিএইচএফ।

সব মিলিয়ে গাজা উপত্যকায় ‘ইসরায়েলি’ বাহিনীর টানা অভিযানে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৬১ হাজার ৪৩০-এ পৌঁছেছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে চলা এ সংঘাতে শুধু প্রাণহানিই নয়, আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ৫৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। অনেকেই এখনো নিখোঁজ। ধ্বংসস্তূপে আটকে থাকা বহু মরদেহের কাছে পৌঁছাতেও পারছেন না বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকারীরা।