আগামী মাসে (সেপ্টেম্বরে) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ জানান, এই প্রতিশ্রুতি ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পাওয়া আশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে নেওয়া হয়েছে—যার মধ্যে রয়েছে ফিলিস্তিনকে নিরস্ত্রীকরণ ও নির্বাচনের আয়োজন। অস্ট্রেলিয়া আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করে এই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
এর আগে ফ্রান্স, কানাডা ও যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতির পরিকল্পনার কথা জানায়। এসব পদক্ষেপ এসেছে গাজায় ‘ইসরায়েল’র সামরিক অভিযান ও পুরো অঞ্চল দখলের পরিকল্পনার নিন্দার পরিপ্রেক্ষিতে, যা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির জন্য আন্তর্জাতিক সমর্থন বাড়িয়ে তুলছে।
এ ঘোষণা এমন এক সময়ে এলো, যখন ‘ইসরায়েল’র প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু গাজায় মানবিক সংকট নিয়ে বাড়তে থাকা আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে অস্ট্রেলিয়া ও ইউরোপীয় দেশগুলোর সিদ্ধান্তকে ‘লজ্জাজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন।
নেতানিয়াহু দাবি করেন, ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হওয়ার মতো ঘটনা যদি সিডনি বা মেলবোর্নে ঘটত, তাহলে অস্ট্রেলিয়া অন্তত ‘ইসরায়েল’র মতোই প্রতিক্রিয়া দেখাত।
এর আগে গত সপ্তাহান্তে সিডনির হারবার ব্রিজে হাজারো মানুষ ‘ইসরায়েল’র বর্বরতাবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেন। চলতি সপ্তাহান্তে এই দাবি আরও জোরালো হয়, যখন নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভা গাজা দখলের পরিকল্পনা ঘোষণা করে—যার ফলে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন হতে পারে বলে সতর্ক করেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং।
এর আগে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পদক্ষেপ নেওয়ায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কড়া সমালোচনা করে নেতানিয়াহু বলেন, ‘ইউরোপীয় দেশগুলো আর অস্ট্রেলিয়া ফাঁদে পা দিচ্ছে, যা সত্যিই হতাশাজনক এবং লজ্জাজনক। তবে এটি আমাদের অবস্থান পরিবর্তন করবে না।’
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন