সোমবার, ১৮ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০২৫, ১১:৪৬ এএম

উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ফেল করায় ২৬ বছর গৃহবন্দি

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০২৫, ১১:৪৬ এএম

গৃহবন্দি নারী । ছবি- সংগৃহীত

গৃহবন্দি নারী । ছবি- সংগৃহীত

উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ফেল করার পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়ায় আলজেরিয়ান এক নারী প্রায় ২৬ বছর ধরে নিজ বাড়িতে গৃহবন্দি রয়েছে বলে জানা গেছে। সম্প্রতি, এক প্রতিবেশী বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনের নজরে আনলে পুলিশ এবং সিভিল ডিফেন্স সদস্যরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন।

ঘটনার শিকার ওই নারীর নাম নাদিয়া (৪৩)। ১৯৯৯ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে পরীক্ষা দিতে গিয়ে ব্যর্থ হন তিনি। এরপর থেকেই নিজ ঘরে একাকী জীবনযাপন শুরু করেন।

জানা যায়, দীর্ঘ এই সময়ে পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে একই বাড়িতে থাকলেও, নাদিয়ার মানসিক অবস্থা এবং আচরণের কারণে পরিবারের কেউ  তাকে সাহায্য করতে পারেননি।

সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ ও আলজেরিয়ার স্থানীয় চ্যানেল আল-নাহার জানিয়েছে, উদ্ধারের সময় নাদিয়ার থাকার জায়গা ছিল অত্যন্ত নোংরা এবং অগোছালো। অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, ঘরের পরিবেশ দেখে হতবাক স্থানীয়রা।

প্রতিবেশীদের ভাষ্যমতে, কেউ তার ঘরের কাছে গেলে তিনি চিৎকার করতেন, এমনকি কখনো কখনো শারীরিকভাবে আঘাতও করতেন।

উদ্ধারের পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘নাদিয়াকে নিরাপদে চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হয়েছে এবং তাকে মানসিক স্বাস্থ্যসেবার আওতায় আনা হয়েছে।’

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আলজেরিয়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন- একজন নারী কীভাবে ২৬ বছর ধরে এভাবে গৃহবন্দি থাকলেন, অথচ পরিবার বা সমাজ কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি?

একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘পরীক্ষায় ফেল করা মানেই জীবন শেষ নয়। সে যদি শুরুতেই একজন মনোবিজ্ঞানীর কাছে যেতে পারত, হয়তো এমন পরিণতি হতো না।’

অনেকে এ ঘটনায় পরিবারের দায় নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন, পাশাপাশি দেশের মানসিক স্বাস্থ্যসেবার সীমাবদ্ধতা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

এ ঘটনা মানসিক স্বাস্থ্য, পারিবারিক দায়িত্ববোধ এবং সমাজের ভূমিকাকে ঘিরে নতুন করে আলোচনা শুরু করেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এমন ঘটনা প্রতিরোধে শুধু পরিবার নয়, রাষ্ট্রকেও আরও সচেতন ও সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে।

Link copied!