শুক্রবার, ২২ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০২৫, ১১:২৬ এএম

সাড়ে ৫ কোটি মার্কিন ভিসাধারীর রেকর্ড খতিয়ে দেখবে যুক্তরাষ্ট্র

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০২৫, ১১:২৬ এএম

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসাধারী সাড়ে ৫ কোটি বিদেশির রেকর্ড খতিয়ে দেখার ঘোষণা দিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। এই পদক্ষেপের আওতায় বৈধ মার্কিন ভিসা থাকলেও যে কেউ যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়নের মুখে পড়তে পারেন। এছাড়া বাণিজ্যিক ট্রাকচালকদের ভিসা দেওয়া তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে ওয়াশিংটন। শুক্রবার (২২ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

পেন্টাগন জানিয়েছে, দেশটির বৈধ ভিসাধারী ৫ কোটি ৫০ লাখেরও বেশি বিদেশির রেকর্ড তারা পর্যালোচনা করছে। এর উদ্দেশ্য হলো ভিসা বাতিল বা অভিবাসন আইনের লঙ্ঘনের মতো বিষয় খুঁজে বের করা, যা যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়নের কারণ হতে পারে। বৃহস্পতিবার এক ঘোষণায় এ তথ্য জানানো হয়।

একইদিন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ঘোষণা দেন, যুক্তরাষ্ট্র অবিলম্বে বাণিজ্যিক ট্রাকচালকদের জন্য কর্মভিসা প্রদান বন্ধ করছে। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, বিদেশি ট্রাকচালকরা “আমেরিকানদের জীবন বিপন্ন করছে এবং স্থানীয় ট্রাকচালকদের জীবিকা ক্ষতিগ্রস্ত করছে।”

অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস-এর এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানায়, সব মার্কিন ভিসাধারীই “নিরবচ্ছিন্ন যাচাই-বাছাই”র আওতায় থাকেন। কোনোভাবে তারা ভিসার অযোগ্য প্রমাণিত হলে তা বাতিল হবে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করলে তাকে বহিষ্কার করা হবে।

পররাষ্ট্র দপ্তরের ভাষ্য, ভিসাধারীরা অতিরিক্ত সময় অবস্থান করছেন কি না, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত কি না, জননিরাপত্তার জন্য হুমকি কি না, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত কি না বা সন্ত্রাসী সংগঠনকে সহায়তা করছে কি না— এসবই মূলত খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

তারা বলেছে, “আমরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার তথ্য, অভিবাসন রেকর্ডসহ যেকোনো নতুন তথ্য যাচাই করি। আর এগুলোতেই ভিসাধারীর অযোগ্যতার ইঙ্গিত পাওয়া যায়।”

২০২৫ সালের জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কঠোর অভিবাসন দমন অভিযান শুরু করেছেন। এতে শুধু অবৈধ অভিবাসী নয়, বৈধ অভিবাসীরাও এর আওতায় পড়ছেন।

সরকার শুরুতে বলেছিল কেবল বিপজ্জনক অপরাধীদের লক্ষ্য করা হবে। কিন্তু বাস্তবে প্রতিদিন হাজারো মানুষ গ্রেপ্তার হচ্ছেন। নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, চলতি বছরের মধ্যে প্রায় ৪ লাখ মানুষকে বহিষ্কার করতে পারে মার্কিন সরকার।

এরই মধ্যে রেস্তোরাঁ, নির্মাণ সাইট, খামার এবং এমনকি আদালত প্রাঙ্গণে নজিরবিহীন অভিযানে কাজের অনুমতিপ্রাপ্ত অভিবাসীদেরও টার্গেট করা হচ্ছে। আদালতে যারা বৈধ মর্যাদা পাওয়ার জন্য দেওয়ানি শুনানিতে হাজির হচ্ছেন, তাদেরও গ্রেপ্তার করছে অভিবাসন কর্তৃপক্ষ।

এছাড়া মানবিক প্যারোল ও অস্থায়ী সুরক্ষা মর্যাদার মতো কর্মসূচিও সীমিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এ কর্মসূচিগুলো দুর্যোগপূর্ণ দেশ থেকে আসা লাখো মানুষকে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস ও কাজের অনুমতি দিয়ে এসেছে।

অন্যদিকে শিক্ষার্থী ভিসাধারীরাও এ অভিযানে টার্গেট হয়েছেন। চলতি সপ্তাহে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, এ বছর এখন পর্যন্ত ৬ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করা হয়েছে।

মার্কিন এই দপ্তরের দাবি, এসব শিক্ষার্থী আইন ভেঙেছে বা সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করেছে। তবে অনেক নথিভুক্ত ঘটনায় দেখা গেছে, তারা কেবল ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন বা মতামতমূলক লেখা লিখেছিলেন— যা আসলে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের মাধ্যমে সুরক্ষিত বাকস্বাধীনতা হিসেবে স্বীকৃত। আবার এমন অনেক শিক্ষার্থীও ভিসা হারিয়েছেন, যারা কোনো ধরনের অ্যাক্টিভিজমেই অংশ নেননি।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!