যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর লিসা কুককে খুব দ্রুত অপসারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার (২৫ আগস্ট) রাতে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যাল-এ এ কথা জানান ট্রাম্প। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প জানান, কুকের বিরুদ্ধে বন্ধকী ঋণের নথিতে ভুয়া তথ্য দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। কুক মিশিগানে একটি বাড়িকে নিজের প্রধান আবাস হিসেবে দেখিয়ে নথিতে স্বাক্ষর করেছিলেন। মাত্র দুই সপ্তাহ পর জর্জিয়ার আরেকটি সম্পত্তির জন্যও একই ঘোষণা দিয়ে নথি জমা দেন তিনি। ট্রাম্প লেখেন, ‘প্রথম প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর দ্বিতীয় নথি স্বাক্ষরের সময় আপনি তা জানতেন না, এটা বিশ্বাস করা কঠিন।’
এ ঘটনার জেরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফেডারেল রিজার্ভের বোর্ড অব গভর্নরসের সদস্য লিসা কুককে তৎক্ষণাৎ পদ থেকে অপসারণের ঘোষণা দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে তার চলমান বিরোধে এটিকে বড় ধরনের উত্তেজনা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
তবে কুককে অপসারণের পদক্ষেপটি নজিরবিহীন হিসেবে দেখা হচ্ছে। ১১১ বছরের ইতিহাসে দেশটির কেন্দ্রীয় ফেডারেল ব্যাংক বোর্ডের কোনো সদস্যকে এভাবে পদচ্যুত করা হয়নি। তিনি ছিলেন সাত সদস্যের মধ্যে একজন এবং এই পদে থাকা প্রথম আফ্রিকান-আমেরিকান নারী। এই পদক্ষেপের বিষয়ে আইনি প্রশ্নও উঠতে পারে, কারণ বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন হোয়াইট হাউসকে আদালতে প্রমাণ করতে হতে পারে যে, অপসারণের যথেষ্ট কারণ ছিল।
যদিও ট্রাম্প বলছেন, সংবিধান প্রদত্ত ক্ষমতা ব্যবহার করে তিনি কুককে অবিলম্বে অপসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কুক কিংবা ফেডারেল রিজার্ভ কেউই এ বিষয়ে এখনো মন্তব্য করেনি।
বিবিসি বলছে, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ট্রাম্প বারবার ফেডারেল ব্যাংকের ওপর চাপ বাড়িয়েছেন- বিশেষ করে এর প্রধান জেরোম পাওয়েলকে লক্ষ্য করে। তার অভিযোগ, সুদের হার কমাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অনীহা দেখাচ্ছে। এমনকি তিনি একাধিকবার পাওয়েলকে বরখাস্ত করার ইঙ্গিতও দিয়েছেন।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন