মিয়ানমারের ৮০ বছর বয়সি গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চি কারাগারে গুরুতর অসুস্থ বলে জানিয়েছেন তার ছেলে কিম আরিস। তার দাবি, সু চি হৃদরোগে ভুগছেন এবং ক্রমেই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটছে। সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাওয়াদ্দি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেনডেন্টকে কিম আরিস বলেন, ‘আমার মায়ের স্বাস্থ্য খারাপের দিকে যাচ্ছে জেনে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। তার দীর্ঘদিনের হৃদযন্ত্রের জটিলতা আছে, যা কারাগারের পরিবেশে আরও খারাপ হয়েছে।’ তিনি বাইরে থেকে এক হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের মাধ্যমে মায়ের চিকিৎসার অনুরোধ জানিয়েছেন। তবে এ অনুরোধ মঞ্জুর হয়েছে কি না, সে বিষয়ে তিনি নিশ্চিত নন।
নোবেল শান্তি পুরস্কারপ্রাপ্ত সু চি ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে কারাবন্দি হিসেবে আটক রয়েছেন।
এক ফেসবুক ভিডিওতে কিম আরিস বলেন, ‘জান্তার এই আচরণ নিষ্ঠুর, প্রাণঘাতী এবং অগ্রহণযোগ্য। তাকে অবশ্যই মুক্তি দিতে হবে।’
সাবেক ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগও উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘অং সান সু চির মুক্তির এখনই সময়। একইসঙ্গে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে অবিলম্বে তাকে যথাযথ চিকিৎসা দিতে হবে।’
সু চি এ পর্যন্ত চারবার সামরিক শাসকদের হাতে আটক হয়েছেন। সর্বশেষ তাকে দুর্নীতির অভিযোগে ২৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় এবং তখন থেকেই তিনি যোগাযোগবিহীন অবস্থায় বন্দি আছেন।
অং সান সু চি ছাড়াও তার দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) বহু নেতা আটক রয়েছেন। এর মধ্যে কারও মৃত্যু হয়েছে জান্তার হেফাজতে থাকা অবস্থায়।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন