ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৬৭ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় হাসপাতাল সূত্রের বরাত দিয়ে রোববার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহতদের মধ্যে ৪৫ জনই গাজা শহরে ইসরায়েলি হামলায় মারা গেছেন। শহরটি দখল এবং সব বাসিন্দাকে দক্ষিণে সরিয়ে দিতে ইসরায়েলি সেনারা অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে, গাজার জীবনকে ‘নরক’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ’র কমিশনার-জেনারেল ফিলিপ লাজারিনি। তিনি বলেন, ‘সম্পূর্ণ দায়মুক্তি আর সহানুভূতির অভাবে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সর্বশেষ যে প্লেগ নেমে এসেছে তা হলো মানুষের তৈরি দুর্ভিক্ষ। এটি প্রতিরোধ করা সম্ভব, শুধু রাজনৈতিক সদিচ্ছাই যথেষ্ট। দরজা খুলুন এবং আমাদের কাজ করতে দিন।’
বর্তমানে কায়রো সফরে রয়েছেন লাজারিনি। তিনি তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে বৃহৎ পরিসরে মানবিক সহায়তা গাজায় পৌঁছাতে পারে। তিনি জানান, শুধু ইউএনআরডব্লিউএ’র কাছেই মিসর ও জর্ডানে আটকে থাকা যথেষ্ট খাদ্য এবং সহায়তা মজুত আছে, যা তিন মাসের জন্য গোটা জনগণের জরুরি চাহিদা মেটাতে সক্ষম।
এ ছাড়া গাজা শহরে ইসরায়েলি অভিযান প্রায় ১০ লাখ মানুষের জন্য ‘মারাত্মক হুমকি’ তৈরি করেছে বলে সতর্ক করেছে ইউনিসেফ।
ইউনিসেফের মুখপাত্র টেস ইনগ্রাম আলজাজিরাকে বলেন, ‘গাজার প্রতি দুজনের একজনই শিশু। তাদের জন্য জীবন প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠছে।’ তিনি দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনুসের নিকটবর্তী আল-মাওয়াসি এলাকা থেকে এ মন্তব্য করেন, যেখানে যুদ্ধের শুরুর দিকে ইসরায়েল তথাকথিত একটি ‘মানবিক অঞ্চল’ ঘোষণা করেছিল।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন