রবিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: অক্টোবর ১১, ২০২৫, ১০:১৪ পিএম

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী যে ৬ নেতাকে মুক্তি দেবে না ইসরায়েল

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: অক্টোবর ১১, ২০২৫, ১০:১৪ পিএম

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী যে ৬ নেতাকে মুক্তি দেবে না ইসরায়েল

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবে ইসরায়েল ও হামাস রাজি হওয়ার পর, শুক্রবার (১০ অক্টোবর) স্বাক্ষর  হয় যুদ্ধবিরতি চুক্তি। চুক্তি অনুযায়ী প্রথম ধাপে ইসরায়েলের ৪৮ জিম্মিকে মুক্তি দিবে হামাস। বিনিময়ে ২ হাজার ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিবে ইসরায়েল। মুক্তির জন্য হামাসের দেওয়া ২ হাজার বন্দির তালিকায় ছিলো শীর্ষ ৬ ফিলিস্তিনি নেতার নাম। তারা হলেন আহমদ সাদাত, মারওয়ান বারগুতি, হাসান সালামেহ, ইব্রাহিম হামেদ, আব্বাস আল-সায়েদ ও আব্দুল্লাহ বারগুতি। সবশেষ এ ছয় বন্দিকে মুক্তি দিতে অস্বীকৃতি জানায় ইসরায়েল, মুক্তির জন্য চাপ অব্যাহত আছে হামাসের পক্ষ থেকে।

মারওয়ান বারগুতি

মারওয়ান বারগুতি, যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের অন্যতম জনপ্রিয় ও সিনিয়র নেতা। ফিলিস্তিনিদের কাছে তিনি ‘নেলসন ম্যান্ডেলা’ নামেই বেশি পরিচিত। ২০০২ সালের এপ্রিল মাসে ইসরায়েলি সেনাদের হাতে আটক হন তিনি। সেই থেকে আজ পর্যন্ত টানা ২৪ বছর তিনি কারাগারের লোহার শেকলেই বাঁধা।
১৯৫৯ সালের ৬ জুন রামাল্লার কোবার গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন বারগুতি। সে বছরই প্রতিষ্ঠিত হয় ফিলিস্তিনি জাতীয়তাবাদী এবং সামাজিক গণতান্ত্রিক দল ফাতাহ। ১৯৭৪ সালে ১৫ বছর বয়সে ফাতাহে যোগ দেন বারগুতি। এক সশস্ত্র সংগঠনের সদস্য হওয়ার দায়ে ১৯৭৮ সালে প্রথমবার কারাগারে যান। টানা চার বছর কারাভোগের সময় তিনি ইংরেজি ও হিব্রু শেখেন। পড়াশোনা অনেকটা এগিয়ে নেন সেখানেই। পরে ১৯৮৩ সালে মুক্তি পেয়ে বিরজেইত বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানে পড়াশোনা শুরু করেন। এ সময় আইনজীবী ফাদওয়া ইব্রাহিমের সঙ্গে পরিচয় হয়, যাকে তিনি ১৯৮৪ সালে বিয়ে করেন।
১৯৮৭ সালে প্রথম ইন্তিফাদায় (ফিলিস্তিনি গণআন্দোলন) নেতৃত্ব দিয়ে ফিলিস্তিনে ও ফাতাহর ভেতরে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। তবে সে বছরই তাকে জর্ডানে নির্বাসিত করা হয়। সাত বছর পর, ১৯৯৪ সালে অসলো চুক্তির মাধ্যমে তিনি ফিরে আসেন। ১৯৯৬ সালে ফিলিস্তিনি আইন পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন।

২০০০ সালের সেপ্টেম্বরে দ্বিতীয় ইন্তিফাদা শুরু হলে ফাতাহর সশস্ত্র শাখা তানজিমের নেতা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন বারগুতি। তখন থেকে ইসরায়েলের কাছে ‘ওয়ান্টেড’ হয়ে ওঠেন তিনি।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্প ডেভিডে মধ্যপ্রাচ্য শান্তি সম্মেলন ভেঙে যাওয়ার পর শুরু হয় এই আন্দোলন। ২০০২ সালের জানুয়ারিতে তিনি দ্য ওয়াশিংটন পোস্টে একটি মতামত নিবন্ধ লিখে ফিলিস্তিনি রাজনীতিতে তার শক্ত অবস্থান জানান দেন। এর মাত্র তিন মাস পরেই তাকে খুঁজে বের করে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০০৪ সালের মে মাসে তাকে পাঁচটি হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং পাঁচটি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বারগুতি।

আহমদ সাদাত
পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইনের (পিএফএলপি) মহাসচিব আহমদ সাদাতের নাম একাধিকবার বন্দিবিনিময়ের আলোচনায় উঠে এসেছ। ১৯৫৩ সালে রামাল্লার কাছে আল-বিরেহ শহরে জন্ম নেওয়া সাদাত ১৯৬০-এর দশকের শেষ দিকে প্রতিষ্ঠিত মার্কসবাদী-লেনিনবাদী সংগঠন পিএফএলপিতে যোগ দেন। ২০০১ সালে ইসরায়েলি হামলায় তৎকালীন নেতা আবু আলি মুস্তাফা নিহত হওয়ার পর তিনি সংগঠনের নেতৃত্বে আসেন। এর পরপরই পিএফএলপির সশস্ত্র শাখা ইসরায়েলি পর্যটনমন্ত্রী রেহাভাম জেভিকে হত্যা করে প্রতিশোধ নেয়। এ হামলায় পরিকল্পনার অভিযোগ আনা হয় সাদাতের বিরুদ্ধে। ২০০৬ সালে জেরিকো কারাগার থেকে ফিলিস্তিনি আইন পরিষদের এই সদস্যকে অপহরণ করে  ইসরায়েলি বাহিনী। দুই বছর পর তাকে ৩০ বছরের কারাদণ্ড দেয় ইসরায়েলের আদালত।

আবদুল্লাহ বারগুতি

১৯৭২ সালে কুয়েতে জন্মগ্রহণ করলেও আবদুল্লাহর পরিবারের আদি নিবাস রামাল্লার বেইত রিমা এলাকায়। অসলো চুক্তির  প্রাক্কালে ১৯৯০ সালের শেষের দিকে তিনি পশ্চিম তীরে চলে আসেন এবং হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসাম ব্রিগেডে যুক্ত হন। হামাসের এ নেতা বিদ্রোহী গোষ্ঠীটির প্রধান বোমা প্রস্তুতকারক ছিলেন বলে অভিযোগ ইসরায়েলের।

২০০০ সালের শুরুতে পরিচালিত একাধিক হামলায় তার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে অভিযোগ করে তেল আবিব। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২০০৩ সালে ইসরায়েলের শিন বেত সিকিউরিটি সার্ভিস তাকে গ্রেফতার করে। বিভিন্ন অপরাধে তাকে অভিযুক্ত করে ৬৭ বার যাবজ্জীবন এবং ৫,২০০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি আছেন আবদুল্লাহ। বর্তমানে তিনি ইসরায়েলের গিলবোয়া কারাগারে বন্দি আছেন। কারাবাসের অধিকাংশ বছরগুলোতে তাকে কনডেম সেলে রাখা হয়েছে।

সম্প্রতি তার মেয়ে অভিযোগ করেছেন, গিলবোয়া কারাগারে ইসরায়েলি প্রহরীদের হাতে তিনি শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তাকে লোহার রড ও বেল দিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা নির্যাতন করা হয়েছে যার ফলে তার শরীরের একাধিক হাড় ভেঙে গেছে।

হাসান সালামেহ
গাজার খান ইউনিস শরণার্থী শিবিরে ১৯৭১ সালে জন্ম নেওয়া সালামেহও আল-কাসাম ব্রিগেডের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন।১৯৯৬ সালে তিনি ইসরায়েলে সংঘটিত একাধিক আত্মঘাতী হামলার দায়ে গ্রেফতার হন। ইসরায়েলি আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে।

ইব্রাহিম হামেদ
১৯৬৫ সালে রামাল্লার কাছে সিলওয়াদে জন্মগ্রহণকারী হামেদ বর্তমানে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছেন। দ্বিতীয় ইন্তিফাদার সময় তিনি পশ্চিম তীরে হামাসের সামরিক শাখার প্রধান ছিলেন এবং ইসরায়েল তার বিরুদ্ধে ডজনখানেক হামলার অভিযোগ আনে। ২০০৬ সালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং ২০১২ সালে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

আব্বাস আল-সায়েদ
১৯৬৬ সালে পশ্চিম তীরের তুলকারেমে জন্ম নেওয়া আল-সাইয়্যেদ ২০০২ সালে গ্রেপ্তার হন। নেটানিয়ায় পার্ক হোটেল হামলার পরিকল্পনার অভিযোগে তাকে ১০০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!