মামদানির প্রতি সুর নরম করলেন ট্রাম্প, দিলেন সহায়তার আশ্বাস

নিউইয়র্কের নির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানিকে সহায়তা করার জন্য আগ্রহী বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ সময় মামদানিকে ‘গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রী’ উল্লেখ করে সফল হওয়ার জন্য ওয়াশিংটনের প্রতি  অনুগত ও শ্রদ্ধাশীল হতে হবে বলে জানান তিনি।

বুধবার (৫ নভেম্বর) এমন মন্তব্য করেন ট্রাম্প। খবর আল জাজিরার।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট এমন সময়ে মন্তব্যটি করলেন যখন মামদানি যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম শহরের প্রথম মুসলিম এবং প্রথম দক্ষিণ এশীয় মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর তার ট্রানজিশন টিম ঘোষণা করেছেন। মতাদর্শে ভিন্নতা থাকায় আগে থেকেই ট্রাম্প ও মামদানির মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় চলছিল। এরই ধারাবাহিকতায় বিজয়ের পরপরই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে মামদানি প্রতিক্রিয়া জানান। এরপর পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানান মার্কিন প্রেসিডেন্টও। মেয়র নির্বাচিতদের মন্তব্যকে ‘বিপজ্জনক বক্তব্য’ হিসেবেও বর্ণনা করেন তিনি।

ফক্স নিউজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘তাকে ওয়াশিংটনের প্রতি কিছুটা শ্রদ্ধাশীল হতে হবে, কারণ যদি তিনি তা না করেন, তাহলে তার সফল হওয়ার সম্ভাবনা নেই।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘আমি তাকে সফল করতে চাই, আমি শহরকে সফল করতে চাই।’ এরপর তিনি স্পষ্ট করে বলেন, তিনি নিউইয়র্ক সিটিকে সফল করতে চান, মামদানিকে নয়।

মামদানিকে কমিউনিস্ট অভিহিত করলেও বুধবারের শুরুতে ট্রাম্প তার প্রশাসন নতুন মেয়রকে সহায়তা করবে বলে জানান। বলেন, ‘আমরা তাকে সাহায্য করব। আমরা চাই নিউইয়র্ক সফল হোক। এজন্য আমরা তাকে কিছুটা সাহায্য করব।’

এর আগে তিনি বলেছিলেন, ‘কমিউনিস্ট, মার্কসবাদীরা বিশ্ববাসীকে বিপর্যয় ছাড়া আর কিছুই দেয়নি এবং এখন দেখা যাক নিউইয়র্কে একজন কমিউনিস্ট কীভাবে কাজ করে।’

এছাড়া মঙ্গলবার নিউইয়র্কে মেয়র নির্বাচনের আগে মামদানির বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করেন ট্রাম্প এবং তাকে ‘কমিউনিস্ট পাগল’ বলে বর্ণনা করেন। এছাড়া মামদানি নির্বাচনে জয়ী হলে শহরের জন্য ফেডারেল তহবিল বন্ধ করে দেয়ারও হুমকি দেন তিনি।

মামদানি তার বিজয় ভাষণে ট্রাম্পকে পরাজিত করার একটি মডেল হিসেবে তার নির্বাচনকে তুলে ধরেন। টিভি-প্রেমী প্রেসিডেন্টকে তিনি সরাসরি ‘আওয়াজ বাড়ানোর’ পরামর্শ দেন।

বুধবার তার অগ্রাধিকারগুলো তুলে ধরেন মামদানি এবং ট্রাম্পের বিরোধিতা করার তার দৃঢ় সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করেন। বলেন, ‘ট্রাম্পের ক্ষেত্রে আমি আমার কথা কম বলব না। আমি তার কর্মকাণ্ড যেমন আছে তেমন বর্ণনা করতে থাকব।’