ঢাকা শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৫

করাচি চিড়িয়াখানায় ‘শিয়ালমানব’! বেরিয়ে এল আসল সত্য

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৪, ২০২৫, ০৭:৫৪ পিএম
ছবি- সংগৃহীত

পাকিস্তানের চিড়িয়াখানায় এমন মানুষের দেখা মিলছে, যার অর্ধেক শরীর শেয়ালের। আজব এই প্রাণীকে দেখতে গত ৪০ বছর ধরে নাকি ভিড় উপচে পড়ছে করাচি চিড়িয়াখানায়। চিড়িয়াখানায় থাকা এমন মানুষের নাম মমতাজ বেগম। মমতাজের শরীরের অর্ধেকটা শেয়ালের। গত ৪০ বছর ধরে করাচি চিড়িয়াখানাই ঠিকানা মমতাজের। কীভাবে মমতাজের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল তা কর্তৃপক্ষ 'ট্রেড সিক্রেট' হিসেবে প্রকাশ করেননি।

মমতাজকে দেখতে রোজই ভিড় উপচে পড়ে করাচির এই চিড়িয়াখানায়। মমতাজের জন্য আবার বিশেষ ধরনের খাঁচাও বানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যেখানে মাথায় ঘোমটা দিয়ে দর্শকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মমতাজ। তার সবচেয়ে ভালো লাগে ছোটদের সঙ্গে কথা বলতে। ছোটরা হাজার রকম প্রশ্ন করে তার এই বিস্ময়কর চেহারা নিয়ে।

মমতাজকে দেখতে টিকিটমূল্য মাত্র ১০ টাকা। ভিড় এতটাই যে তা সামাল দিতে নাভিশ্বাস ওঠে চিড়িয়াখানা কর্মীদের। এতদিন মৎস্যকন্যা থেকে অশ্বমানুষের কথা শোনা গেছে। যদিও, বাস্তবে এদের কারও দেখা মেলেনি—সেখানে শিয়ালমানব!

চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষকে চেপে ধরতেই বেরিয়ে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গেল, চিড়িয়াখানার ‘মিয়াল’ মানুষটি সত্য নয়, অভিনয় করা। আসলে, বেদির ওপরে শিয়ালের চেহারার মডেল রেখে তার মাথার কাছে মমতাজের মাথা রাখা হয়েছে। বেদির নিচে আছে সিক্রেট চেম্বার, যেখান থেকে শুয়ে মাথাটা বেদির বাইরে বের করে দেন মমতাজ। মাথার সঙ্গে ওড়না জড়িয়ে রাখায় শিয়ালের দেহাংশের সঙ্গে মানুষের দেহাংশের পার্থক্য সহজে ধরা পড়ে না।

বিস্ময়ের আরও বাকি। কারণ, মমতাজ বেগম বলে যাকে ডাকা হচ্ছে তার আসল নাম মুরাদ আলি। ৪০ বছর আগে চিড়িয়াখানায় মমতাজের চরিত্রটি তৈরি করা হয়েছিল। মুরাদের আগে তার বাবা এই কাজ করতেন। বাবার অকাল মৃত্যুতে ১৬ বছর আগে এই কাজ ধরেন মুরাদ। রোজ টানা ১২ ঘণ্টা এভাবেই অর্ধেক মানুষ ও অর্ধেকের শেয়ালের ভূমিকায় অভিনয় করেন মুরাদ।