সোমবার, ০১ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১, ২০২৫, ০১:৫২ পিএম

প্রেমিককে হত্যা করল পরিবার, মরদেহকে বিয়ে করলেন প্রেমিকা

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১, ২০২৫, ০১:৫২ পিএম

আঁচল। ছবি- সংগৃহীত

আঁচল। ছবি- সংগৃহীত

প্রেমের মরা জলে ডোবে না—এই গানের কথা যেন সত্যি হলো ভারতের মহারাষ্ট্রের নান্দেদে। নিচু জাতের ছেলে হয়ে উচ্চবর্ণের মেয়ে আঁচলের প্রেমে মজেছিলেন সক্ষম তাঁতী (২০)। কিন্তু ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস! জাত প্রথার কাছে হেরে গেছে সক্ষমের ভালোবাসা।

নিচু জাতের ছেলে হয়ে এত বড় স্পর্ধা! উচ্চবর্ণের মেয়ের সঙ্গে প্রেম করার অপরাধে প্রেমিকার পরিবারের হাতে খুন হয়েছেন সক্ষম। কিন্তু সক্ষমের প্রেম ছিল সত্য। তাই মরে গেলেও তাঁর প্রেমিকা যেন আঁকড়ে ধরেছেন তাঁর ভালোবাসা। প্রেমিকের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় নিজেই কপালে সিঁদুর পরে সক্ষমকে বিয়ে করেছেন আঁচল এবং শপথ নিয়েছেন সেই বাড়িতেই পুত্রবধূ হিসেবে থাকার।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আঁচল তাঁর ভাইদের মাধ্যমে সক্ষম তাঁতীর সঙ্গে পরিচিত হন। বাড়িতে ঘন ঘন যাতায়াতের কারণে তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক গভীর হয়। কিন্তু সম্প্রতি তাঁদের তিন বছরের এই সম্পর্কের কথা জেনে যায় আঁচলের পরিবার। বর্ণ প্রথার কারণে আঁচলের পরিবার তাঁদের সম্পর্ক মেনে নিতে পারেনি। কিন্তু হুমকি সত্ত্বেও আঁচল সক্ষমের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন এবং তাঁরা দুজন বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন।

তাঁরা যখন বিয়ের পরিকল্পনা করছিলেন, ঠিক সেই সময়ে গত বৃহস্পতিবার আঁচলের ভাই ও বাবা এ খবর জানতে পারেন। তাঁরা সক্ষমকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যান। এরপর তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়, তাঁর মাথায় গুলি করা হয় এবং শেষে একটি পাথর দিয়ে তাঁর মাথা থেঁতলে দিয়ে হত্যা করা হয়। 

এই মর্মান্তিক খবর আঁচলের কাছে পৌঁছালে সক্ষমের শেষকৃত্য চলাকালে তিনি তাঁর বাড়িতে ছুটে আসেন। সেখানে এসে আঁচল সক্ষমের নিথর দেহে হলুদ মাখিয়ে নিজের কপালে সিঁদুর পরেন এবং মৃত প্রেমিককেই বিয়ে করেন। এরপর তিনি সিদ্ধান্ত নেন, বাকি জীবন তিনি সক্ষমের স্ত্রী হিসেবে সেই বাড়িতে কাটাবেন।

আঁচল বলেন, ‘সক্ষমের মৃত্যুর পরেও আমাদের ভালোবাসা জিতেছে আর আমার বাবা ও ভাইয়েরা হেরেছেন। সক্ষম মারা গেলেও আমাদের ভালোবাসা এখনো বেঁচে আছে।’ তিনি সক্ষমের হত্যাকারীদের মৃত্যুদণ্ড দাবি করেন।

জানা গেছে, স্থানীয় পুলিশ এ ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে এবং বিভিন্ন ধারায় মামলা করেছে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!