এআই দিয়ে আহত হাতের ছবি বানিয়ে অফিসকে বোকা বানালেন কর্মী

এআই-প্রযুক্তি এত দ্রুত এবং এতটাই উন্নত হয়েছে যে যেকোনো সাধারণ ছবি সম্পাদনাও সম্পূর্ণ বাস্তব মনে হতে শুরু করেছে। গুগলের আপডেট করা ন্যানো ব্যানানা এআই ইমেজ জেনারেটর এর অতি-বাস্তবসম্মত (হাইপার রিয়েলিস্টিক) ফলাফল অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ার পর এটাই প্রমাণ হলো।

মানুষের জীবনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবহারের পাশাপাশি অপব্যবহার ক্রমেই বাড়ছে। এআই দিয়ে ‘আহত হাতের’ ছবি বানিয়ে অফিস থেকে ছুটি নিলেন এক কর্মী। সেই ঘটনা ভাইরাল হয়েছে সোশ্যালে, চলছে পক্ষে-বিপক্ষে নানা আলোচনা-সমালোচনা।

রোববার (৩০ নভেম্বর) হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

সম্প্রতি গুগলের ন্যানো ব্যানানা এআই ইমেজ জেনারেটর তারই যেন প্রমাণ দিল। এর হাইপার-রিয়েলিস্টিক (অত্যন্ত বাস্তবসম্মত) ছবি তৈরি করার ক্ষমতা ব্যবহার করে অদ্ভুতভাবে অফিস থেকে ছুটি নিয়েছেন এক ব্যক্তি।

তিনি প্রথমে রাস্তায় দাঁড়িয়ে নিজের হাতের একটি ছবি তোলেন। এরপর সেই ছবি ন্যানো ব্যানানাতে আপলোড করেন। সেখানে সংক্ষিপ্ত প্রম্পট লিখে এআইকে আঘাতের চিহ্ন যোগ করার নির্দেশ দেন। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই এআই এমন একটি বাস্তবসম্মত ছবি তৈরি করে দেয়, যা দেখলে মনে হবে- সত্যিই আঘাত লেগেছে।

এই সম্পাদিত ছবি পাঠানো হয় অফিসের মানবসম্পদ বিভাগের (এইচআর) কর্মকর্তার কাছে। সঙ্গে দাবি করেন, তিনি বাইক থেকে পড়ে আঘাত পেয়েছেন, তাই চিকিৎসকের কাছে যাওয়া দরকার।

ছবিটি দেখে এইচআর কর্মকর্তা সহানুভূতিশীল হয়ে পড়েন এবং প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই বৈতনিক ছুটি (পেইড লিভ) অনুমোদন করেন। অতিরিক্ত কোনো যাচাই-বাছাই করা হয়নি। কারণ এআইর তৈরি ক্ষতের চিহ্ন অত্যন্ত বাস্তবসম্মত ছিল।

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম লিংকডইনে আসল ও সম্পাদিত ছবি পাশাপাশি রেখে পোস্ট করেন শ্রেয়াষ নির্মল নামে এক ব্যক্তি। তিনি জানান, এইচআর কর্মকর্তা কথিত ‘আঘাত’ দেখে সঙ্গে সঙ্গে ম্যানেজারের কাছে বিষয়টি তুলে ধরেন। কয়েক মিনিটের মধ্যে ছুটি অনুমোদিত হয়, সঙ্গে সহানুভূতিপূর্ণ বার্তাও দেওয়া হয়।

ঘটনা প্রকাশের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যবহারকারীরা মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। কেউ বিস্মিত হয়েছেন, কেউ হাস্যরস করেছেন। এক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেন, ‘যে কোম্পানিতে এমন প্রমাণ দিতে হয়, সেই কোম্পানি আগেই বরবাদ হয়ে গেছে।’ অন্য একজন লেখেন, ‘এটা কল্পনাশক্তির সমস্যা নয়, বরং সংস্থার সংস্কৃতির ফলাফল, যেখানে কাজের চাপ ও বিষাক্ত পরিবেশ কর্মচারীকে এই পথ বেছে নিতে প্ররোচিত করে।’