নাইজেরিয়ার নাইজার রাজ্যের মধ্যাঞ্চলীয় শহর মোকওয়ায় চলতি সপ্তাহের শুরুতে আকস্মিক বন্যায় ১৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।
শনিবার (৩১ মে) রাজ্যটির জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থার এক মুখপাত্র ইব্রাহিম আউদু হুসেইনি এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
ইব্রাহিম আউদু হুসেইনি এএফপি’র সঙ্গে শেয়ার করা পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, মৃতের সংখ্যা আগের ১১৫ জন থেকে দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সঙ্গে ৩ হাজারেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন এবং ৩০০ বাড়ি ‘সম্পূর্ণ ধ্বংস’ এবং দু’টি সেতু ভেসে গেছে।
এর আগে, এক বার্তায় ইব্রাহিম আউদু হুসেইনি এএফপি’কে বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত ১১৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছি এবং আরও অনেককে উদ্ধার করা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। নাইজার নদীতে দূর থেকে আসা বন্যায় মানুষ ভেসে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভাটার ধারে, এখনও মরদেহ উদ্ধার করা হচ্ছে। তাই, মৃতের সংখ্যা বাড়তেই থাকবে।’
১২ জনের একটি পরিবারের মাত্র চার সদস্যের সন্ধান পাওয়া গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখনো অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন। ধসে পড়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপ থেকে কিছু মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে মরদেহ উদ্ধারের জন্য তার দলগুলোকে খননকারী যন্ত্রের প্রয়োজন হবে।
রাজ্যের রেড ক্রসের প্রধান গিডিয়ন আদামু এএফপিকে জানিয়েছেন, কমপক্ষে ৭৮ জন আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
ডেইলি ট্রাস্ট সংবাদপত্র জানায়, হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং একটি ইসলামিক স্কুলের ৫০ জনেরও বেশি শিশু নিখোঁজ রয়েছে।
জাতীয় জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থা (এনইএমএ) এটিকে ‘নজিরবিহীন বন্যা’ হিসেবে বর্ণনা করেছে।
দুর্যোগ মোকাবেলায় সহায়তা করার জন্য পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
রাজধানী আবুজা থেকে ৩০০ কিলোমিটার পূর্বে মোকওয়ায় একজন এএফপি সাংবাদিক জরুরি পরিষেবাগুলোকে তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করতে দেখেছেন। এ সময় সময় বন্যার পানি প্রবাহিত হওয়ায় বাসিন্দাদের সমতল ভবনের ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়ে যেতে দেখেছেন।